শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ভুমিকা রাখবে বাঁশরী ওয়াদুদ ফুটবল টুর্নামেন্ট : ওয়াদুদ ভূইয়া। কালের খবর গুইমারায় অস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। কালের খবর মাকে ৭ বছর পর পেয়ে জড়িয়ে ধরলেন তারেক রহমান। কালের খবর জমি দখলে বেপরোয়া রুহুল আমিন হাওলাদার। কালের খবর মাটিরাঙায় সেনা অভিযানে ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দ। কালের খবর দুর্গম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেনাবাহিনীর শিক্ষা উপকরণ বিতরণ। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় তারুণ্যের উৎসবে বর্ণাঢ্য র‍্যালি। কালের খবর খাগড়াছড়িতে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। কালের খবর মুন্সিগঞ্জে জাতীয় পার্টির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত। ।
যশোরে সবজির নামে বিষ খাচ্ছে মানুষ। কালের খবর

যশোরে সবজির নামে বিষ খাচ্ছে মানুষ। কালের খবর

যশোর প্রতিনিধি, কালের খবর:

সবজির রাজ্য বলা হয় যশোরকে । নিরাপহদ সবজি চাষ ও উৎপাদনে যশোরের সুখ্যাতি রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারেও। কিন্তু এখানকার কিছু অতি মুনাফালোভী কৃষককের অসচেতনতায় সবজির নিরাপদ উৎপাদনকে কুলুষিত করছে। পোকা-মাকড় দমনে বেগুন, শিম, পাতাকপি, ফুলকপিসহ সকল সবজিতে অবাধে মাত্রাতিরিক্ত বিষ ছিটানো হচ্ছে। আগের দিন বিষ স্প্রে করা সবজি পরের দিন ভোরে চাষিরা বাজারজাত করছেন। বাজার থেকে সেই সবজি কিনে খাচ্ছে মানুষ। সহনীয় মাত্রায় বিষ ব্যবহারের পর নির্দিষ্ট সময়ের আগে সবজি বাজারজাত করা মানেই মানুষকে বিষ খাওয়াানো হচ্ছে বলে জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নে বারো মাস সবজির চাষ করেন কৃষকরা। মাঠের পর মাঠ শীতকালীন সবজিসহ অন্যান্য সবজিতে বর্ণিল হয়ে উঠেছে।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ করেছেন চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নের চাষিরা। হৈবতপুর ইউনিয়নে এক হাজার ৬শ ৩০ হেক্টর, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে ৮শ’ ২৮ হেক্টর ও কাশিমপুর ইউনিয়নে ৫শ’ ৫৩ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে। এখানে উৎপাদিত সবজির সুনাম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে। কিন্তু আগের মতো সবজিতে সেই স্বাদ আর নেই। কারণ সবজির সাথে বিষ খাচ্ছে মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবজিতে ছিটানো বিষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রিনকর্ড, সিমবুন, সুমিসাইডিন, হেপ্টাক্লোর, থায়াডিন, ডিডিটি। এগুলো খুবই বিপদজনক। এছাড়াও নগস, সুমিথিয়ন, ডাইমেক্রন, ম্যালালাথিয়ন, অ্যারোমাল ইত্যাদি।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এসব কীটনাশক প্রয়োগের পর অপেক্ষমানকাল কোনোটির ৩ দিন, কোনোটির ৭ দিন, কোনোটির ২১ দিন এমনকী ৬ মাস পর্যন্ত হতে পারে। চুড়ামনকাটি, আব্দুলপুর, ছাতিয়ানতলা, সানতলা, নুরপুর, বাগডাঙ্গা, দোগাছিয়া, সাজিয়ালী, শ্যামনগর, হৈবতপুর, তীরেরহাট, মানিকদিহি, মথুরাপুর, লাউখালী, নাটুয়াপাড়ার প্রতিটি মাঠে আবাদি সবজিতে মাত্রাতিরিক্ত বিষ ছিটানো হচ্ছে।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বিষমুক্ত সবজি চাষে কৃষকদের নানাভাবে সচেতন করা হয়। এছাড়া পোকা-মাকড় দমনে ফেরোমন ফাঁদ ও আইপিএমএর বিভিন্ন পদ্ধতিতে সবজি চাষে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তারপরেও সবজিতে অতিরিক্ত বিষ ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com