শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে লাভবান কৃষক, খিরা যাচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর তীব্র গরমে পথচারীদের সুপেয় পানি সরবরাহ করছে ফায়ার সার্ভিস। কালের খবর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর
সোনারগাঁওয়ে জরাজীর্ণ সেতুতে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল। কালের খ

সোনারগাঁওয়ে জরাজীর্ণ সেতুতে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল। কালের খ

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মোগরাপাড়া-বৈদ্যেরবাজার ঘাট সড়কের সাহাপুর সেতুটির দীর্ঘদিন ধরেই খুব জরাজীর্ণ অবস্থা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে সেতুটি। সেতুর রেলিং অনেক আগেই ভেঙে উধাও হয়ে গেছে। প্রায় অর্ধশত বছর আগে নির্মিত সেতুটি এখন চলাচলকারীদের কাছে আতঙ্কের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এক মাসে এই সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ উভয় পাশের বেশ কিছু অংশ ধসে গেছে। এর আগেও সেতুর দক্ষিণাংশের একটি অংশ ধসে যায়। ধসে যাওয়া দুটি অংশে লোহার পাত দিয়ে সেতুটি চলাচল উপযোগী করলেও এক সপ্তাহ আগে উত্তর দিকের একাংশ ধসে যাওয়ার পাশাপাশি সেতুর উপরিভাগে দেখা দিয়েছে বড় ফাটল। ফলে এ পথে চলাচলকারীরা সেতুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন এ সেতুর কয়েকটি স্থান ধসে যাওয়ায় রিকশা ও অটোরিকশা ছাড়া ভারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। সেতুটি সংস্কারের জন্য স্থানীয়রা বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলেও এ ব্যাপারে এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ঘাটের নিকটবর্তী সাহাপুর এলাকার এ সেতুটির দুই পাশের রেলিং অনেক আগেই ধসে পড়েছে। এ ছাড়া সেতুর পিলারের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় এ সেতু পথচারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত ৮ জুলাই হঠাৎ করেই সেতুর দক্ষিণ দিকের একটি বড় অংশ ধসে পড়ে। পরে ধসে যাওয়া অংশে লোহার পাত বসানো হয়। কিন্তু মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ঈদের পরই আবার ধসে পড়ে সেতুটির উত্তর দিকের একাংশ। বর্তমানে এ সেতু দিয়ে চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে। এছাড়া এখানে কোনো সড়কবাতি না থাকায় রাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ও বারদী ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী আড়াইহাজার ও মেঘনা উপজেলার ২০-২৫ হাজার মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করে। উপজেলার একমাত্র বৈদ্যেরবাজার মাছঘাটটিতেও এ সেতু দিয়ে যেতে হয়। এছাড়া এ সেতু দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করে। ওপারে বৈদ্যরবাজার ঘাট এলাকায় কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকায় মালবাহী বড় বড় লরি-ট্রাক, কার্ভাডভ্যান এই সেতুর ওপর দিয়েই চলাচল করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম জানান, ভাঙা সেতু দিয়ে যানচলাচল খুবই ভয়াবহ ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে উপর মহলে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল জানান, এ সেতুটি বেশ পুরনো। এটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী। নতুন করে এখানে সেতু নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ দ্রুত শুরু হবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com