বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
তাড়াইল থেকে ওয়াসিম সোহাগ, কালের খবর :
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় আইপি এল খেলার নামে জমজমাট জোয়া বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত তাড়াইল উপজেলা,তালজাঙ্গা,রাউতি,জাওয়ার,ধলা,দামিহা,দিগদাইড়,ও তাড়াইল সাচাইল।প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে গ্রাম্য হাট বাজার ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে দোকানপাট বা চায়ের স্টল।দোকানিরা বা চা বিক্রেতারা তাদের বেচাকেনা বেশী হওয়ার জন্য টিভি,সিডি দেখার ব্যাবস্হা করে রেখেছে। এই সুবাদে কিছু অসাধু ব্যাক্তি খেলা দেখার ছলে জুয়া খেলায় মেতে ওঠে।এক্ষেত্রে কিছু জুয়ারো ছাড়াও শিক্ষিত,অশিক্ষিত, শ্রমিক মালিক থেকে শুরু করে কিশোর বয়সের ছেলেরাও এই সর্বনাশা খেলায় মেতে ওঠেছে। কিছু মানুষ সাময়িক লাভবান হলেও বেশীর ক্ষেত্রেই টাকা হেরে গিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে।ফলে পরিবারে বাড়ছে অশান্তি ঋনে জর্জরিত হয়ে এলাকা ছাড়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে– দলের খেলা শুরু হওয়ার আগে দুজন, চারজন,বা গ্রুফ বেধে দুটি দলের পক্ষ নেয়। যে দল হেরে যাবে সেই দলের পক্ষের লোকজন অপর পক্ষকে তাদের বাজির টাকা দিয়ে দিতে হয়।আবার যাদের টাকা বেশী তারা দেখা যায় কম সময়ে বেশী টাকার ছড়াছড়ি করে। যেমন কোন ব্যাটসম্যান এই বলে ছক্কা, চার মারবে কিনা এই বিষয়ে জোয়া ধরা হয়।ফলে এক ওভারে মাত্র ছয়টি বলেই অনেক টাকার খেলা হয়ে যায়।চায়ের দোকানদারদের জিজ্ঞাসাকরে জানতে পারলাম। ওরা যে খেলা দেখার ছলে কিছু একটা করে তা তারা বুজতে পারে। কিন্তু বেচাকেনার স্বার্থে তারা নীরব থাকে। একটি খেলা দেখতে গিয়ে স্টল ভর্তি লোকজন দীর্ঘ সময় বসে থাকে, বসে থাকার কারনে তাদেরকে একটু পরে পরেই চা, পান,সিগারেট দেওয়া হয়। যারফলে দোকানীর বেচাকেনা জমে ওঠে। আবার কিছু কিছু দোকানিরাও এই সর্বনাশার জোয়ার সাথে জড়িত আছে বলে খবর পাওয়া যায়। নীতি বর্জিত কিছু প্রতিষ্টিত ব্যাবসয়ীও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপর পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে টিভি সেটের সামনে বসে যায় ও মোটা অঙ্কের টাকার জোয়া খেলে যায়। সমগ্র উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে একই রকমের চিত্র খুজে পাওয়া যায়। অনেকের ধারনা এরকম রমরমা গোপন জোয়ার আসর সারা দেশের প্রায় সব জায়গাতেই বিরাজমান।তাই এই সমস্যা থোকে উত্তরনের জন্য প্রশাসন সহ সর্ব সাধারনের সার্বিক সহযোগীতা চায় এলাাকাবাসী ।