রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
যৌনপল্লী থেকে আদালতের বিচারক। কালের খবর

যৌনপল্লী থেকে আদালতের বিচারক। কালের খবর

কালের খবর ডেস্ক :

বয়স মাত্র ২৭ বছর। জৈবিদ দিক দিয়ে তিনি রূপান্তরকামী।
মা ছিলেন যৌনকর্মী। বড় হয়েছেন যৌনপল্লীতে। এজন্য কটু কথা শোনা ছিল নিত্য-নৈমত্তিক ব্যাপার। কিন্তু হাল ছাড়েননি সিন্টু বাগুই। রূপান্তরকামীদের আন্দোলনে জড়িয়ে গেছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পরের দিন রূপান্তরকামী এই সিন্টু এবার ওপার বাংলার শ্রীরামপুর ‘লোক আদালতের’ বিচারকের আসনে বসলেন। যৌনকর্মীর সন্তান‌ এবং রূপান্তরকামী হিসেবে সম্ভবত তিনি প্রথম এই দায়িত্ব পালনের গৌরব অর্জন করেছেন।
আদালতে জমে থাকা কিছু মামলা বা লঘু অপরাধ এবং মামলার পূর্বাবস্থায় থাকা বিষয়ের নিষ্পত্তি হয় লোক আদালতে। এই আদালতে সাবেক কিংবা বর্তমান বিচারপতি, আইনজীবী কিংবা সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন।

হুগলি জেলার চার মহকুমায় লোক আদালত বসেছিল। সম্প্রতি হুগলি জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের (ডালসা) পক্ষ থেকে সমাজকর্মী হিসেবে সিন্টুকে বিচারকের আসনে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
শ্রীরামপুরে লোক আদালতের পাঁচটি বেঞ্চ বসেছিল। তার একটিতেই অন্যতম বিচারক ছিলেন সিন্টু। দেড় বছর আগে এখানেই লোক আদালতের বিচারক ছিলেন রূপান্তরকামী শ্যাম ঘোষ। শনিবার সিন্টুর সঙ্গে ছিলেন ‘ডালসা’র সচিব অনির্বাণ রায় ও আইনজীবী অংশুমান চক্রবর্তী। অনির্বাণ রায় জানান, সিন্টুর বেঞ্চে বিএসএনএল সংক্রান্ত প্রায় আড়াইশ বিষয়ের বেশির ভাগই নিষ্পত্তি হয়েছে। সিন্টু অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সিন্টু জানান, ১০ বছর বয়স থেকে তার মধ্যে মেয়েলি ভাব প্রকট হতে থাকে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পরে জড়ান রূপান্তরকামী আন্দোলনে। তার কথায়, ‘আন্দোলনের সূত্রে অনেক জায়গায় যেতে হয়। নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরি। এক সময় টিপ্পনী করতেন, এমন অনেকেই আজ উৎসাহ দেন। বাড়ির পরিবেশও সহজ হয়ে গেছে। আমার সাফল্যে বাড়ির সবাই খুশি। দিদি নিজে আমাকে শাড়ি পড়িয়ে দেয়। মা বেঁচে থাকলে খুশি হতেন। যৌনকর্মীর সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা হয় না। যৌনকর্মীদের ভালমন্দ নিয়ে কাজ করি। এই পেশাকে সম্মান, শ্রদ্ধা করি। ‘

-সূত্র : আনন্দবাজার

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com