রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
পা-চালিত মেশিন চালিয়ে সংসারে বাড়তি আয়ের যোগান দিচ্ছেন গৃহবধু নুরিনা । কালের খবর

পা-চালিত মেশিন চালিয়ে সংসারে বাড়তি আয়ের যোগান দিচ্ছেন গৃহবধু নুরিনা । কালের খবর

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, কালের খবর : সংসারে বাড়তি আয়ের যোগান দিতে একটি পা-চালিত মেশিন চালিয়ে সংসারে বাড়তি আয়ের যোগান দিচ্ছেন নুরিনা বেগম (২২)। বিয়ের এক বছর পর থেকে তিনি নিজ বাড়ীতে কাপড় সেলাই করে বাড়তি টাকা উপার্জন করছেন। সেলাই মেশিন চালিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন গৃহবধু নুরিনা

এ ছাড়া গ্রামে বাল্য বিয়ে বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে সচেতন করাসহ মানুষের উপকারে কাজ করছেন তিনি। এ জন্য গ্রামের সবার কাছেই অতি প্রিয় হয়ে উঠেছেন আর এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের এক অজোপাড়া গাঁ শ্যামপুর গ্রামের অষ্টম শ্রেণী পাস গৃহবধু নুরিনা বেগম।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, ২০১৪ইং সালের মার্চ মাসে শ্যামপুর গ্রামের ফরহাদ সরকারের সাথে পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামের নুরিনা বেগমের বিয়ে হয়। ফরহাদ সরকার পেশায় একজন অটোরিকসা চালক। আর শ্বাশুড়ী মমতা বেগম গৃহিনী। ২০১৫ইং সালে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে সেলাই মেশিন কেনেন তিনি। পরবর্তীতে সেই সেলাই মেশিন চালিয়ে টাকা পরিশোধ করেছেন নুরিনা। নুরিনা এক ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট। বাবা কৃষি কাজ করেন। আর মা গৃহিনী।

গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে শ্যামপুর গ্রামে নুরিনা বেগমের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, নুরিনা নিজ ঘরে পা-চালিত সেলাই মেশিনে জামা সেলাই করছেন আর মমতা বেগম বাড়ির আঙ্গিনায় গৃহস্থালির কাজ করছেন।

নুরিনা বেগমের শ্বাশুড়ী মমতা বেগম বলেন, নুরিনা আমার মেয়েরই মতো। সংসারের যে কোন কাজ আমরা দুইজনে পরামর্শ করে করি। আমাদের যদি আরও সেলাই মেশিন থাকতো তাহলে গ্রামের অন্য আরো কয়েকজনকে শেখানো যেত। তাদেরও অনেক উপকার হতো।

নুরিনা বেগম বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় একটি সংগঠনের মাধ্যমে ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় তিনটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করেছি। এলাকার মানুষকে সচেতন করছি, এখন আর এই গ্রামে বাল্য বিবাহ হয়না। একজন বিধবা মহিলাকেও সম্প্রতি একটি বিধবা ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। আর এসব সম্ভব হয়েছে এসকেএস ফাউন্ডেশনের ইমেজ প্রকল্পের মাধ্যমে। আমি বাবার বাড়ি থাকতেই কাপড় সেলাইয়ের কাজ শিখেছি। এখান থেকে প্রতিমাসে বাড়তি এক থেকে দেড় হাজার টাকা পাই। যখন আমার স্বামী গাড়ী চালাতে যেতে পারে না। তখন এই টাকা আমার সংসারের অনেক কাজে লাগে।

তিনি আরও বলেন, আমি যদি কোন সহযোগিতা পেতাম তাহলে কয়েকটি সেলাই মেশিন দিয়ে আরও কয়েকজন গরীব মহিলাকে কাপড় সেলাইয়ের কাজ শেখাতাম। এতে করে তাদেরও সংসারে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা হতো। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে সেটা করতে পারছি না। সামনে আমার ইচ্ছে আছে আরও কয়েকটি সেলাই মেশিনের ব্যবস্থা করে কয়েকজন গরীব ও অসচ্ছল মহিলাকে কাপড় সেলাই শেখাবো। যাতে তারা নিজেরাই কাজ শিখে একটি সেলাই মেশিন কিনে সংসারে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করতে পারে।

      দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন । 

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com