শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর
ভোলার এসপি মোকতার হোসেনের নারী কেলেঙ্কারী ফাঁস !! ঘুষ, দুর্নীতি করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়

ভোলার এসপি মোকতার হোসেনের নারী কেলেঙ্কারী ফাঁস !! ঘুষ, দুর্নীতি করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়

স্টাফ রিপোর্টার, কালের খবর   : ভোলা জেলার পুলিশ সুপার মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে নারী পুলিশ সদস্যদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হয়রানীর অভিযোগ ২০১৬ সাল থেকে উঠলেও অদৃশ্য শক্তির কারণে তার কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। এবার ভোলার এসপি’র নারী কেলেঙ্কারী তদন্ত চলছে । অভিযোগ রয়েছে, তিনি ভোলা জেলায় যোগদান করেই তার স্বভাবসুলভ ঘুষ, দুর্নীতি ও মহিলা পুলিশ কনস্টেবলদের উপর যৌন নিপীড়ন শুরু করেন। প্রথমে তিনি বিভিন্ন থানা ফাঁড়ি ভিজিট করে সুন্দরী অবিবাহিত ১০/১২ জন মহিলা পুলিশ কনস্টেবলদের বাছাই করে পুলিশ লাইনে বদলী করে নিয়ে আসেন। তারপর আরও-১ এসআই আশরাফের মাধ্যমে ঐ সব মহিলা কনস্টেবলদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে নিজের মোবাইল থেকে এবং তার বাংলোর সম্প্রতি চাকুরিচ্যূত অর্ডারলী কং মনিরের মোবাইল থেকে ফোন দিয়ে ঐ সব মহিলা কনস্টেবলদের তার সাথে দেখা করা ও শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ কাজে তিনি এই কং মনিরকে সার্বক্ষনিক নিয়োগ করেছিলেন। পুলিশ সুপার মোকতার হোসেনের হাত থেকে বাঁচার জন্য ঐ সব নিরীহ মহিলা কনস্টেবল তার কথোপকথন রেকর্ড করে রাখেন এবং ফোনে উইমেন্স পুলিশ নেটওয়ার্কের প্রধান ডিআইজি মিলি বিশ্বাসকে জানান। মিলি বিশ্বাসের হস্তক্ষেপে পুলিশ সদর দপ্তর স্মারক নং-৪৪.০১.৪৪৪.০৩০.০৪.০৪৫.১৬/১৯৯৫ তাং- ১৭ আগস্ট ২০১৬ ইং এবং বরিশাল ডিআইজি অফিস স্মারক নং (স্টেনো-২)/৫.২০১৬/১৩৭ এর মাধ্যমে তৎকালীন বরিশাল রেঞ্জ ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি মোঃ আকরাম হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তৎকালীন বরিশাল রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি আকরাম হোসেন ভোলাতে তদন্তে গেলে ভিকটিম মহিলা কনস্টেবলগন বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে এবং অভিযোগ জানায় ও মোবাইলের কল রেকর্ড হস্তান্তর করে। ডিআইজি তদন্ত শেষে এসপি মোকতার হোসেন ও কং মনিরকে দোষী সাব্যস্ত করে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠান। প্রতিবেদন পাঠানোর পরেও এসপি মোকতার হোসেন কোন ধরনের ঝামেলায় পরতে হয়নি। বরং উল্টো ভিকটিম নারী পুলিশ সদস্যদেরকে শাস্তিমূলক বিভিন্ন জেলায় পোস্টিং করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি তার এমন অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করে বিভিন্ন হুমকির ধামকির স্বীকার হতে হয়েছে এক সাংবাদিককে। ভোলায় জেলায় স্থানীয় বাড়ি এমন এক সাংবাদিককে হয়রানী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপও নেন এসপি মোকতার হোসেন। এসপি মোকতারের হয়রানীর স্বীকার থেকে বাচতে গত ০১/১১/২০১৭ ইং তারিখ প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি অভিযোগ দাখিল করে ওই সাংবাদিক। যার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জিডি নং-৬৬১৮। উক্ত অভিযোগটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ সদর দপ্তর দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। জানা গেছে, ওই তদন্ত কমিটির কাছে গত ১০/০৪/২০১৮ ইং তারিখ অভিযোকারী তার স্বাক্ষী দিয়েছেন।
আরো জানা গেছে, এর আগে এসপি মোকতার হোসেনের এমন কর্মকান্ডের যে তদন্ত হয়েছে ওই তদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কং মনির (বিপি-৯২১১১৪৩৭১১) কে বরগুনা জেলার স্মারক নং-বরঃজেলা/আর.ও/০৫-২০১৭/১২২১ তাং-০৬/০৭/২০১৭ খ্রিঃ এবং বড়গুনা জেলার আদেশ নং-৯৯০ তাং-০৫/০৭/২০১৭ খ্রিঃ মোতাবেক বিভাগীয় মামলা নং-০৪/১৬ তাং-১৯/১০/১৬ খ্রিঃ এর উত্থাপিত অভিযোগসমূহ প্রমানিত হওয়ায় বিভাগীয় মামলার শাস্তি হিসাবে গুরুদন্ড স্বরুপ তাকে গত ১০/০৭/২০১৭ খ্রিঃ চাকুরী হতে অপসারণ/বরখাস্ত করা হয়। এরপর কং মোঃ মনির প্রকৃতদোষী কে এমন ব্যাখ্যা দিয়ে গত ১৫/০৭/২০১৭ ইং তারিখ ডিআইজি বরিশাল রেঞ্জ এর কাছে একটি আপিল করেন। কিন্তু প্রধান আসামী পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন আছেন বহাল তবিয়তে। অজ্ঞাত কারণে পুলিশ সদর দপ্তর/ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করে নি। উপরন্তু ভিকটিম মহিলা পুলিশ সদস্যদেরকে বিভিন্ন জেলায় শাস্তিমূলক বদলী করা হয়েছে। বিচার না পেয়ে ভিকটিম মহিলা পুলিশ সদস্যরা হতাশ। সরকারী কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশ সদস্যরা তাদেরই উর্ধ্বতন পুলিশ অফিসার কর্তৃক যৌন নিগ্রহের স্বীকার। উক্ত বিষয়ে একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন ইহাই ভিকটিমরা আশা করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন অভিযোকারী সাংবাদিক। অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে, ভোলার পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন তার পূর্বের কর্মস্থল সিরাজগঞ্জ জেলায় নিজ অফিস রুমে নারী পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়মিত যৌনাচার করতেন এমন প্রমান (কল রেকর্ড) রয়েছে এই প্রতিবেদকের হাতে।
১. চট্টগ্রাম থাকাকালে মাদক ব্যবসা। এখনো ভোলায় সেই টেকনাফ থেকে মাদক (ইয়াবা) আনছেন নিজস্ব সিন্ডিকেট দিয়ে।
২. ভোলায় পুলিশে নিয়োগ বানিজ্য।
৩. পুলিশের ইন্টারনাল (অভ্যন্তরীন) ঘুষ ৪/৬ গুণ বৃদ্ধি।
৪. ভোলা থানা লেভেলের পুলিশ অফিসারদের গণবদলী এবং গণবদলীর চেষ্টা।
৫. ভোলা সকল কথিত পুলিশের ক্যাশিয়ারের অবৈধ কার্যক্রম নিজস্ব দুই একজন লোক এবং ডিবি’র মাধ্যমে ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রন গ্রহন।
৬. বির্তকিত মেয়েদেরকে পুলিশ সুপার পদক ক্রেস্ট প্রদান। পুলিশ সুপার পদক দেয়ার নিয়ম না থাকলেও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ/অনুমোদন না নিয়ে ক্রেস্ট প্রদান করা।
৭. বাংলামটর ওভার ব্রীজের পাশে নাভানা জহুরা স্কয়ার লিফটের পাঁচে বিলাশবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি।

  … দৈনিক কালের খবর

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com