মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিএফইউজে’র রিপোর্ট সাংবাদিক নিপীড়নের চিত্র : ১১ মাসে খুন, হামলা, মামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার ২৯৬ সাংবাদিক। কালের খবর সরকারের চাপে পড়ে যে কজন হেভিওয়েট নেতা বিএনপি থেকে বেরিয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছেন। কালের খবর মানবতার সেবায় উদাহরণ হয়ে থাকবেন ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক। কালের খবর সিরাজগঞ্জ- ৬ শাহজাদপুর আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন মোঃ চয়ন ইসলাম। কালের খবর আসন্ন সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের মনোনয়নপত্র জমা। কালের খবর প্রতিদিন পাচার হচ্ছে ৪০-৫০ লাখ টাকা, ধরাছোঁয়ার বাইরে চক্রের সদস্যরা। কালের খবর দলের মনোনয়ন-বঞ্চিত হয়ে চট্টগ্রাম -১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে একাত্মতায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। কালের খবর মাশরাফির আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী-সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নুর ইসলাম। কালের খবর মুরাদনগরে বাড়িতে ঢুকে অতর্কিত হামলা ভাঙচুর মামলা নেয়নি ওসি নিরাপত্তাহিনতায় ভুক্তভোগি পরিবার। কালের খবর যশোর ৪ আসনে (এনামুল হক বাবুল) নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় বাঘারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল। কালের খবর
সংসদ বহাল রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত হবে না’

সংসদ বহাল রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত হবে না’

 

কালের খবর প্রতিবেদক   :  বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংসদ বহাল রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত হবে না। তিনি আরও বলেন, এটি তার সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত।

অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এটা বলা যায়, কিছু অসৎ লোক ছাড়া সবাই বলবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ।
ড. কামাল বলেন, যারা নির্বাচন পরিচালনা করে তারা যদি নিরপেক্ষ না হন, তাহলে জনগণ কীভাবে ভরসা করবে? বর্তমানে যে রকম রাজনীতির পরিস্থিতি, তা-ই চলতে থাকলে গতবারের নির্বাচনের মতো একটি নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। বিগত নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়নি।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে গণফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, দেশবাসী একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। সবাই আশা করেছিল ২০১৪’র অনুষ্ঠিত তথাকথিত একটি নির্বাচনের পর খুব শিগগির আরও একটি নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্মম পরিহাস সে নির্বাচন এখনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, জনগণের দাবি আদায়ে ঐকবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।

এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ছাড়া সবার সঙ্গে ঐক্য হবে।

ঐক্য হবে নীতির ওপর ভিত্তি করে। এবং সে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যম জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ড. কামাল অভিযোগ করে বলেন, এখন রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র নেই। তাই দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র আনতে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। রাষ্ট্রের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলেও জনগণের ক্ষমতা থাকতে হবে।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনকালে আইনকে সঠিকভাবে প্রয়োগের জন্য যদি সেনাবাহিনীকে প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই করা দরকার। সে রকম অবস্থায় যেতেও পারে, না-ও যেতে পারে। সেই অবস্থায় যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের সেটা মূল্যায়ন করতে হবে।

ড. কামাল বলেন, আপনারা দেখেছেন ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে অনেক বক্তৃতা রয়েছে। সেগুলো একসঙ্গে করে দিলে আমি একটি ম্যানিফেস্টো ছাপিয়ে বিলি করে দিতাম। তার বক্তব্যতে স্পষ্ট কীভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের পক্ষে উত্থাপিত লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজে জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকারসহ সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অন্যতম শর্ত হচ্ছে- বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা। ফলে যথাযোগ্য বিচারকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থা অপরিহার্য। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে- এটাই আইনের শাসনের মূল কথা।

এতে আরও বলা হয়, নব্বইয়ের তিন জোটে রূপরেখা ও ২০০৫ সালে ১৪ দলের ২৩ দফা কর্মসূচিভিত্তিক গণআন্দোলনের বিজয়ের পর লক্ষ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যের ঘাটতি এবং দুর্বলতার কারণে- জনগণের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা আজও পূরণ হয়নি। এ কারণে লক্ষ্য ও কর্মসূচিভিত্তিক আন্দোলনের বিজয়ের পর, কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যের চেতনাকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে।

লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য আওম শফিক উল্লাহ।

পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, দেশের মানুষ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশে ঘুষ-দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করেছে। ওপরের দিক থেকে নিচে সর্বত্র ঘুষ-দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। জনগণ অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষ সুশাসন চায়। তিনি বলেন, মানুষ এখন তার ক্ষমতার মালিকানা ফেরত চায়। মানুষ ক্ষমতার মালিক হতে চায়।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জানে আলম প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

           দৈনিক কালের খবর /২১/৪/১৮

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com