বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন
শরীয়তপুর প্রতিনিধি, কালের খবর :
হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে শরীয়তপুর পৌরসভার (৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর) প্যানেল মেয়র-২ হোসেন মো. আলমগীর মৃধা। শুক্রবার সকালে কাগদী গ্রামের চায়ের দোকানে তার ওপর হামলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল অনুমান ৬টায় মর্নিং ওয়ার্ক করতে বাড়ি থেকে বের হন প্যানেল মেয়র-২ হোসেন মো. আলমগীর মৃধা। তিনি হাটতে হাটতে কাগদী গ্রামের বাদশা ঢালির বাড়ির নিকট চায়ের দোকানে গিয়ে চা বিস্কুট খেতে বসেন। এ সময় শাহজালাল বেপারী, শাহজালাল মাদবর ও সাদ্দাম মাদবর তার ওপর হামলা চালায়। তাকে এলোপাথাড়ি মাথায় ও হাঁটুতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় তার আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বেলা ১১টায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে।
পরিবারের দাবি, সন্ত্রাসীরা মাদক ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সময় পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এ কারণে তারা কাউন্সিলরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ দিকে দুপুর ১২টায় প্যানেল মেয়রের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে হামলাকারী শাহজালাল বেপারী, শাহজালাল মাদবর ও সাদ্দাম মাদববের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
হামলার ঘটনায় প্যানেল মেয়রের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে তিনজনকে দায়ী করে মামলা করেছে। তারা হচ্ছেন, শাহজালাল বেপারী, শাহজালাল মাদবর ও সাদ্দাম মাদবর।
পারভিন আকতার বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমি অভিযোগ দাখিল করেছি। আমি সন্ত্রাসীদেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
পালং মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
দৈনিক কালের খবর /কে /এল :