বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ অপরাহ্ন
কালের খবর, সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরার দহাকুলায় এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার দহাকুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর স্বামী কাবিল ও ভাসুর হাবিলকে আটক করেছে পুলিশ। আহত গৃহবধূ আনোয়ারা খাতুনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান, যৌতুকের দাবীসহ নানা কারণে স্বামী কাবিল তার স্ত্রী আনোয়ারাকে প্রায়ই মারধর করতো। আজ সকালে ভাত খাওয়া নিয়ে আবারও তার সাথে ঝগড়া হয়। এ সময় স্বামী ও ভাসুর তাকে বকাবকি করে।
গৃহবধূ আনোয়ারা এর প্রতিবাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। পরে স্বামী কাবিল ও তার ভাই হাবিল আনোয়ারাকে বাড়ির উঠোনে একটি আম গাছে বেঁধে লাঠি ও ঝাঁটা দিয়ে মারধর করে। আনোয়ারার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এলে দুই ভাই কাবিল ও হাবিলের হুমকির মুখে উদ্ধার করতে সাহস পায়নি। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ গৃহবধূকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরপর স্বামী কাবিল ও তার ভাই হাবিলকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে কামরুল ইসলাম আনোয়ারার বাঁধন খুলে তাকে মুক্ত করেন। এরপরই তাকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিত গৃহবধূ আনোয়ারা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, ভাসুর হাবিলের দেওয়া কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তার ষড়যন্ত্রে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এ ছাড়া যৌতুকের দাবিতে তার স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও অধিকাংশ সময় নির্যাতন করত। সকালে স্বামীর সাথে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়ে তর্ক হলে তার স্বামী ও ভাসুর বাড়ির উঠানে গাছে বেঁধে মারপিট করে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: আক্তারুজ্জামান জানান, গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি ও ঝাটার কাটির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরিভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
কালের খবর -/৬/৪/১৮