বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন
কালের খবর প্রতিবেদক : বাতিল হওয়া সাচিবিক বিদ্যা বিষয়ে প্রায় দেড়শতাধিক ছাত্রীকে ভর্তি করিয়েছে ডেমরায় সামছুল হক খান কলেজ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এসব শিক্ষার্থীর আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় সৃষ্টি হয়েছে। বোর্ড কর্মকর্তাদের অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করে শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলেছে।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিগত ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে সাচিবিক বিদ্যা বিষয় বাতিল করে ফিন্যান্স, ব্যাকিং ও বীমা চালু করা হয়। সে সময় বলা হয়, যে সব শিক্ষার্থীর সাচিবিক বিদ্যা রয়েছে তাদের জন্য ২০১৬ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত এ বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। এরপর নতুন করে আর এ বিষয়ে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না।
সামছুল হক কলেজ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে বাতিল হওয়ার পরও ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ১০৭ জন ছাত্রীকে সাচিবিক বিদ্যা বিষয়ে ভর্তি করা হয়েছে। আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় এসব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চিয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় প্রতিদিন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরছেন এসব শিক্ষার্থী। কলেজ কর্তৃপক্ষও বাতিল হওয়া বিষয়ে পরীক্ষা আয়োজনে ঢাকা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, বাণিজ্য বিভাগে সাচিবিক বিদ্যা বাতিল করে নতুন যে সব বিষয় চালু করা হয়েছে, সেগুলোর অনুমোদন পেতে আমরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেছি। কিন্তু বোর্ড আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালিতে আমরা এখনও নতুন বিষয়ের অনুমোদন পাইনি। বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিষয় অনুমোদন স্থগিত রাখা হয়েছে। এসব কারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
মাহাবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সেখানে নতুন চেয়ারম্যান যোগ দিলে আমাদের এ সমস্যার সমাধান করা করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহিদুল খবির বলেন, বাণিজ্য বিভাগে সাচিবিক বিদ্যা বাতিল করে নতুন বিষয় চালু করা হলেও সামছুল হক কলেজের সে বিষয়গুলোর অনুমোদন নেই। ফলে বাতিল হওয়া বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়েছে। এ কারণে সামছুল হক কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাতিল হওয়া বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করেছে।
শাহিদুল খবির বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমরা এখনও কোনো সমাধান দিতে পারিনি। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে নতুন চেয়ারম্যান যোগদান করলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।