রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
কালের খবর প্রতিনিধি: কবিরাজের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে এক গৃহবধূকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূর জিহ্বা, মুখ ও স্পর্শকাতর স্থানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম লোহার ছ্যাঁকা দিয়ে পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে মুমূর্ষু অবস্থায় গৃহবধূ জয়নবকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বিকেলে সার্জারি ওয়ার্ডে নেয়া হলেও সন্ধ্যায় স্থানান্তর করা হয় ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ওসিসিতে। সেখানে চিকিৎসার নামে কবিরাজের নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন জয়নব।
নির্যাতিতা জয়নব বলেন, ‘আগুন জ্বালিয়ে মাল্টা আগুনে দিল। এরপর আমার হাত-পা বেঁধে সেই গরম মাল্টা আমার জিহবায় ঢুকিয়ে দিল।’
স্বামী ঝালমুড়ি বিক্রেতা নূর মোহাম্মদ জানান, সম্প্রতি স্ত্রী জয়নব অস্বাভাবিক আচরণ করায় তার ভাড়া বাড়ির মালিকের মাধ্যমে কবিরাজের দ্বারস্থ হন। সাত দিন ধরে চিকিৎসা করেন কবিরাজ।
নির্যাতিতার স্বামী নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘বিশ হাজার টাকা দাবি করেছিল উনি। বাড়িওয়ালা বলেছি তিন হাজার টাকা দেব। তিন হাজার টাকা দেয়ার পরে তারা এই কাজ করে।’
অভিযুক্ত কবিরাজ মুনশি কবিরাজ বলেন, ‘এটা করলে ভূত-টুত থাকলে চলে যায়। ভূত থাকে না। এই শিক্ষাটা এক হিন্দু মুরব্বি মারা যাওয়ার আগে আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিল।’
ঘটনা জেনে পুলিশ কবিরাজের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
রংপুর কোতয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল মিয়া বলেন, ‘ইতিমধ্যে তাকে আটক করা হয়েছে। সে দোষী হলে তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে।’
নূর মোহাম্মদের ভাড়া বাড়ির মালিক মাইদুল পাশের গ্রামের মুনশি কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করাতে কুড়ি হাজার টাকায় চুক্তি করিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু জয়নবের করুণ পরিণতির পর ওই দিনই তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
কালের খবর -/৮/৩/১৮