বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
এমপিওভূক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবীতে সহকারী শিক্ষক সমিতি এক দফা কর্মসূচিতে মিছিল। কালের খবর নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৬-। কালের খবর সর্বত্র তার ‘অশুভ’ হাত, দুর্নীতি-লুটপাটের বরপুত্র দুর্জয়। কালের খবর ইরানে সর্ষের মধ্যেই ভূত! কালের খবর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। কালের খবর নবীনগরে প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসককে হাত পা বেঁধে নির্যাতন, ১ জন গ্রেপ্তার। কালের খবর মাটিরাঙ্গা বাজার মনিটরিংয়ে ইউএনও-এসিল্যান্ড। কালের খবর সীতাকুন্ডে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় বৃদ্ধের লাশ। কালের খবর মিরপুর বিআরটিএ, যৌথ বাহিনীর সহায়তায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান-১৩ দালালের কারাদণ্ড। কালের খবর
ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন জরুরী। কালের খবর

ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন জরুরী। কালের খবর

 

।। মোঃ সহিদুল ইসলাম সুমন, কালের খবর ।। 

বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনীতি তথা ব্যাংক খাতের প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণ। খেলাপি ঋণ অর্থনীতিকে স্তব্ধ করে এক প্রকার দেউলিয়া দশার দিকে ঠেলে দিয়েছে। অনেক পদ্ধতি, কৌশল ও প্রচেষ্টা অবলম্বনের পরও তা আজও হাতের নাগালের বাইরে। ব্যাংকিং ভাষায় খেলাপি ঋণ হচ্ছে, ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত দেয় তার মধ্যে অন্যতম হল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য সুদসহ ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময় পর ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ বা ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে,তখন ঐ অনাদায়ী ঋণই খেলাপি ঋণ।বিগত সরকারের সময় দেশে খেলাপি ঋণ বাড়তে বাড়তে এখন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। একই সাথে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছিল খেলাপিদের দৌরাত্ম্যও। বড় অংকের ঋণ নিয়ে তা পরিশোধের কোন প্রয়োজনই বোধ করেনি এসব খেলাপিরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রভাব ও কতিপয় অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে তারা এসব দেশবিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে সরকারের অবস্থাও ছিল ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র পর্যায়ের। খেলাপিরা ‘আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ’ হলেও জাতীয় অর্থনীতিতে পড়েছে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব। আর তা কাটিয়ে ওঠার আশু কোন লক্ষণ এখন ও দেখা যাচ্ছে না।গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট নতুন অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব নেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি দায়িত্ব নিয়ে ঘোষণা করেছেন, ব্যাংক খাতের সব তথ্য প্রকাশ করা হবে। এবং কোনো তথ্য যাতে গোপন করা না হয়, সে বিষয়েও তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে এবার খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসবে। এতে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে আগামী দিনে অতিমাত্রায় বাড়বে খেলাপি ঋণ।বিগত সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উৎসাহে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ কমিয়ে দেখাত। খেলাপি হওয়ার যোগ্য ঋণকেও খেলাপি করা হতো না। নতুন গভর্নর দায়িত্ব নিয়েই বলেছেন নির্ভয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে হবে। এর ধারাবাহিকতায় ৩ সেপ্টেম্বর গত জুনভিত্তিক ঋণের তথ্যে দেখা যায়, খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। যা মার্চে ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। ওই তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছিল ২৯ হাজার কোটি টাকা। চলতি সেপ্টেম্বরের তথ্য নভেম্বরের শেষদিকে পাওয়া যেতে পারে। তখন খেলাপি ঋণ আরও বাড়বে। এছাড়া আগামী ডিসেম্বর ও মার্চ প্রান্তিকে তা যে লাফ দেবে এটা ধারনা করা যায়।
অথচ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন দেশে মোট খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।তারও এক দশক আগে ১৯৯০ সালে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। এখন তা ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা।অর্থাৎ ১৫ বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৯ গুণ। এই সময়টা ছিল ঋণখেলাপিদের জন্য স্বর্নযুগ। আমার শিক্ষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বেশি-সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের যে হিসাব তখন দিয়েছে, তা প্রকৃত তথ্য ছিলনা। কারণ, প্রকৃত খেলাপি ঋণ আরও অনেক বেশি। মামলার কারণে অনেক ঋণকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। আবার অবলোপন করা ঋণও খেলাপির হিসাবে নেই। এ দুই ঋণকে বিবেচনায় নিলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যার অর্ধেকই হচ্ছে ৪/৫ জনের কাছে বলে সম্প্রতি মত প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ব্যাংক গর্ভনর। যত দিন ঋণখেলাপিদের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আলাদাভাবে বিচারের ব্যবস্থা করা যাবে না, তত দিন খেলাপি ঋণও কমবে না।১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে সাবেক দুই প্রধান বিচারপতি মো. সাহাবুদ্দীন আহমদ ও মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ঋণখেলাপিদের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু কোনো সরকারই এ উদ্যোগ নেয়নি। বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকায়, অনাদায়ী ঋণ আদায়ে ২০১৫ সাল থেকে ঋণ খেলাপিদের নানা ধরণের সুবিধা ও বড় বড় ছাড় দিয়ে আসছিল বিগত সরকার।আবার আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো শর্তের মধ্যে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার শর্ত দিয়েছিল।বেসরকারি খাতে খেলাপি ঋণ ২০২৬ সালের মধ্যে পাঁচ শতাংশের নিচে এবং সরকারি ব্যাংকে ১০ শতাংশের নিচে নামানোর শর্ত দিয়েছে সংস্থাটি।কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেসরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় খেলাপি ঋণের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। পাকিস্তানে তা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ভারতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) খেলাপি ঋণের হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে।অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ধারণা হলো, ভারতে আগামী বছর খেলাপি ঋণের হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে।অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার শ্রীলংকা ছাড়া বিভিন্ন দেশে খেলাপি ঋণের হার কমলেও বাংলাদেশে বাড়ছে।

বিগত সরকারের আমলে খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা নীতির ঘোষণা দেয়, বলা হয় মেয়াদী ঋণের কিস্তির অর্ধেক শোধ করতে পারলেই তাদের আর ঋণখেলাপি বলা হবে না – এমন সুযোগও দেয়া হয়।কিন্তু বার বার সুবিধা দেয়া হলেও খেলাপি ঋণের পরিমাণ তো কমেইনি, বরং বেড়েছে।ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনীতে সেই সুযোগ যেন আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। গত জাতীয় সংসদে আইনের সংশোধনীতে বলা হয়েছে, এখন থেকে খেলাপিরাও ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।আগে একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের কোন প্রতিষ্ঠান ঋণ খেলাপি হলে তাদের অন্য প্রতিষ্ঠান গুলোর ঋণ পাওয়ার সুযোগ ছিল না।নতুন আইনের কারণে খেলাপিদের নতুন ঋণ নিতে পারবে। ফলে খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি আরও জটিল রূপ নিয়েছে।এখনই খেলাপি ঋণ আদায়ে শক্তিশালী আইন ও ব্যাংকের পর্ষদে পারিবারিক আধিপত্য কমাতে হবে। বিগত সরকারের সময়ে বির্তকিত সব সংশোধনী হয়েছিল ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নেতৃত্বে নজরুল ইসলাম মজুমদার থাকা অবস্থায়।এ ধরণের দাবি আদায়ের জন্য সব ব্যাংকের সিএসআর তহবিল থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে মোটা অংকের অর্থ যোগাদাতা ছিলেন তিনি। আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তৎকালিন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি করে আইনের সংশোধন করে ফেলেছেন এই নজরুল ইসলাম মজুমদার । তাই খুব দ্রুত ব্যাংক খাত সংস্কারে গঠিত কমিশনের সুপারিশ এবং মতামতের ভিত্তিতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের যেসব ধারা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, তা সংশোধন করতে হবে।

কোন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ থাকা মানে, ব্যাংক ওই বিনিয়োগ থেকে কোন লভ্যাংশ পায় না, ব্যাংকের মুনাফা কমে যায়।ব্যাংকে টাকার পরিমাণ কমে গেলে তারল্য সংকট সৃষ্টি হয়। ফলে ব্যাংকের নতুন করে ঋণ দেয়ার ক্ষমতা কমে যায়। এতে নতুন করে বিনিয়োগ কমে যায়, কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে। ফলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এক কথায় খেলাপি ঋণের প্রভাবে ব্যাংকিং খাত ও রিজার্ভসহ সব ধরনের আর্থিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাংকের টাকা অর্থনীতিতে ‘জ্বালানির মতো’ কাজ করে।এই খাতের বড় অংকের টাকা ব্যবস্থাপনার বাইরে চলে গেলে গোটা অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।ব্যাংকের মুনাফার উপর যদি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তাহলে স্বাভাবিকভাবে সরকার ব্যাংকের থেকে কম কর পায়।আর সরকার কম কর পেলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় খাতে ব্যয় কমে যাবে। যা এটি চক্রাকারে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।এছাড়া অবকাঠামো উন্নয়নেও সরকার ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ করতে পারবে না, বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করতে হবে।সেইসাথে যে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনছেন তাদের শেয়ারের দাম কমে যাচ্ছে। যার প্রভাব ব্যাংকিং খাতে এসে পড়ছে।তবে খেলাপি ঋণের সাথে টাকা পাচারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই টাকাগুলোর একটা বিরাট অংশ বৈদেশিক মুদ্রায় বদলে নিয়ে বিদেশে পাচার হয়ে যায়। ফলে তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও চাপ তৈরি করছে।অর্থাৎ সাধারণ মানুষের আমানতের ওই টাকা দেশের কোন উপকারে আসে না।এক কথায় এই খেলাপি ঋণের প্রভাবে উৎপাদন হচ্ছে, ব্যাংক টাকাও ফেরত পাচ্ছে না। উপরন্তু টাকা বিদেশ পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা অর্থনীতিকে চক্রাকারে আঘাত করছে।

তবে এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তখন ব্যাংক খাতে সুশাসনের অভাব ছিল। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণ বিতরণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রাজনৈতিক নেতা, ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ঋণগ্রহীতার পারস্পরিক যোগসাজশে দেওয়া হয় এসব ঋণ। কাজেই খেলাপি ঋণ কমাতে হলে ব্যাংকগুলোয় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। এক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তথা এমডি ও অন্যান্য পরিচালকের দায়িত্বের বিষয়টি অনস্বীকার্য। তবে এ ব্যাপারে ব্যাংক খাতের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বও কম নয়। বস্তুত এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংককেই পালন করতে হবে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা।দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেই যখন আইন শিথিল করে দেওয়া হয়,তাতে দুর্নীতিবাজ ব্যাংকারদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি হয়। অথচ ব্যাংকগুলোয় কোথায় কী অনিয়ম হচ্ছে, তা দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করলে অনিয়ম বন্ধ হয়ে ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত ও খেলাপি ঋণ কমে আসতে বাধ্য। খেলাপি ঋণের কারণে শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোই যে সমস্যায় পড়ছে তা নয়, সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।সর্বপরি খেলাপি ঋণ এখন জাতীয় অর্থনীতিতে গোদের উপর বিষ ফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই এই বিষ ফোঁড়া স্থায়ীভাবে দূর করতে এবং খেলাপি ঋণের লাগামহীন ঘোড়াকে থামাতে হলে ব্যাংক খাত সংস্কারে কমিশনকে প্রয়োজনীয় আইনের সংস্কার করে, ব্যাংক গুলোর সমস্যা নির্ণয় করে তার সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। তার সাথে চিহ্নিত বৃহৎ ঋণখেলাপিদের সম্পদ জব্দ কর্ তাদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা আদায় করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দিতে হবে যাতে করে ব্যাংক গুলোর তারল্য প্রবাহ ঠিক থাকে এবং ভবিষ্যতে বংলাদেশে যেন এই ধরনের অপকর্মের সাহস কেউ না পায় তার নজির সৃষ্টি করতে হবে। তবেই ব্যাংক খাতে শৃংখলা আসতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
লেখক : অর্থনৈতিক বিশ্লেষক।
Email : msislam.sumon@gmail.com

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com