বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার আত্মহত্যা। কালের খবর রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি শুন্য গড়াই , নলকূপ উঠছে না পানি। কালের খবর
হোটেল-মোটেলে পর্যটকদের কাছ থেকে গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছে

হোটেল-মোটেলে পর্যটকদের কাছ থেকে গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছে

কালের খবর প্রতিবেদক : একুশে ফেব্রুয়ারি এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে চার দিনের ছুটি নিয়ে অনেকেই কক্সবাজার বেড়াতে গেছেন। পর্যটকদের বাড়তি চাপের সুযোগে রীতিমতো ডাকাতি শুরু করেছেন সেখানকার হোটেল-মোটেল মালিকরা। পর্যটকদের থেকে ২-৪ গুণ পর্যন্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিটি হোটেল-মোটেল থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যে যেমন পারছে গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে। কক্সবাজারে চার শতাধিক হোটেল-মোটেলে এমন নৈরাজ্য চললেও বিচ ম্যানেজমেন্ট ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা নেই।

ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা চরম হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। বুধবার সকাল থেকে কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোন কলাতলিতে ঘুরে পর্যটকদের কাছ থেকে এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পর্যটকরা বলছেন, অন্যান্য দিনগুলোতে একটি রুমের ভাড়া যত নেয়া হয়, এখন তার চেয়ে দুই থেকে চার গুণ ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা রুমা ও শাহীন দম্পতি বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে এসে কলাতলির সী সান হোটেলে একটি নন-এসি রুম নিয়েছি। এই রুমের জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রথমে চার হাজার টাকা দাবি করে। অনেক অনুরোধের পর আমাদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। অন্য সময়ে নেয়া হয় মাত্র এক হাজার টাকা। এসব গলাকাটা বাণিজ্য বন্ধে জেলা প্রশাসনের কঠোর হওয়া দরকার।’

যশোর থেকে আসা পর্যটক নাজিম উদ্দিন জানান, সী পার্ক হোটেলে একটি নন-এসি কাপল রুম চাচ্ছে তিন হাজার টাকা যা অন্য সময়ে আটশ’ থেকে এক হাজার টাকা দিয়ে পাওয়া যায়।
এদিকে তাহের ভবন গেস্ট হাউস নামে একটি হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কাপল রুম ভাড়া নেয়া হচ্ছে তিন হাজার টাকা করে। একই অবস্থা কক্সবাজারের সাড়ে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও কটেজে।
জানতে চাইলে তাহের ভবন গেস্ট হাউসের ম্যানেজার আতাউর রহমান মোল্লা পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের কোনো নির্ধারিত ভাড়া নেই। আজকের রুম ভাড়া বেশি। পর্যটক বেশি থাকায় আজকে তিন হাজার টাকা করে নন-এসি রুম ভাড়া দেয়া হচ্ছে। দু-একদিন পরে এই ভাড়া কমে যাবে।’
অন্যদিকে সী সান রিসোর্টের কর্মকর্তা মো. আরিফের কাছে কোনো নির্ধারিত ভাড়া আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো কিছু বলেননি।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুহ রহমান জানান, পর্যটকদের কাছে যেই সব হোটেল-মোটেল মালিক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন, তাদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, পর্যটকদের কাছে রুম ভাড়া বেশি নেয়ার বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। তবে কোনো পর্যটক সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কক্সবাজার, কালের খবর  ২১/২/১৮

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com