শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক দুই মন্ত্রীসহ ২৪০ জনের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা। কালের খবর কোনো সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিএনপিতে স্থান নেই : ডেমরার বিএনপি নেতা এস এম রেজা চৌধুরী সেলিম। কালের খবর আড়াইহাজারে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে নারীকে ধর্ষণ। কালের খবর যুব সমাজকে যুব সম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে : আলাউদ্দিন সিকদার। কালের খবর ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস ১৪ অঞ্চলে। কালের খবর সড়ক যানজটমুক্ত করতে মহাসড়কের পাশে হাট বাজার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ ৬ নির্দেশনা। কালের খবর আওয়ামী লীগের ডিএনএতেই ফ্যাসিজম আছে : উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। কালের খবর অর্থনীতিতে জরুরী বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কালের খবর ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে ডেমরা থানা বিএনপির আনন্দ মিছিল। কালের খবর দানা’র ঢেউয়ে দুই খণ্ড কক্সবাজার ইনানী জেটি। কালের খবর
পড়া না পারায় ছাত্রীর কাছ থেকে চুমুর আবদার

পড়া না পারায় ছাত্রীর কাছ থেকে চুমুর আবদার

 

 

 

 

 

 

কালের খবর ডেস্ক :

পড়া না পারায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর কাছ থেকে চুমুর আবদার। ছাত্রী তাতে নারাজ হলে শাস্তিস্বরূপ ২৫০বার কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠল বেহালার বাসুদেবপুর হাই স্কুলের ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পকসো আইনে রুজু হয়েছে মামলা। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক অতনু দাশগুপ্তকে।
ছাত্রীর পরিবারের দাবি, সোমবার পঞ্চম শ্রেণির পড়–য়াদের ওই শিক্ষক বলেন, ‘পড়া না পারলে চুমু খেতে হবে।’ শিক্ষকের ভয়ে কয়েকজন ছাত্রী তাঁকে চুমু খায় বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু ছাত্রীটি এতে আপত্তি জানায়। অভিযোগ, এর শাস্তি হিসাবে তাকে ২৫০ বার কান ধরে ওঠবস করার নির্দেশ দেন অতনু। ১১০ বার ওঠবসের পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। বাড়িতে অসুস্থতার কারণ জানতে চাওয়া হলে সে অন্য স্কুলে ভরতি হওয়ার কথা বলে। এতেই সন্দেহ হয় অভিভাবকদের। যার জেরে সহপাঠীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারে ছাত্রীর পরিবার। মঙ্গলবার স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর শিপ্রা ঘটক। অভিযুক্ত শিক্ষককে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, স্নেহের বশে তিনি চুমু চেয়েছিলেন। ছাত্রীরা বিষয়টিকে অন্যভাবে নিয়েছে। যদিও তাঁর এই যুক্তি কেউ মেনে নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না, বলে দাবি করে কাউন্সিলরকে মুচলেকা দেয় ওই শিক্ষক। পরে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান ছাত্রীর মা। পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ডেকে তার অভিযোগও নেন তদন্তকারী অফিসার। ওই ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতেই পকসো আইনে অভিযুক্ত ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে থানা। তারপরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। প্রসঙ্গত, গত আড়াই মাসে এ নিয়ে পঞ্চম বার কলকাতার কোনও স্কুলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। জি ডি বিড়লা, কারমেল কাণ্ডের স্মৃতি মানুষের মনে এখনও টাটকা। বেহালার বাসুদেবপুর হাই স্কুলের এই ঘটনা ফের চিন্তায় ফেলল অভিভাবকদের।

কালের খবর  /২১/২/১৮

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com