সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
ফুলেল শুভেচ্ছা, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল সহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সারাদেশে পালিত হয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাকে দলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা ভোট ডাকাত ছিল- তারাই এখন গণতন্ত্র চায়। ভোটের অধিকারের কথা বলে। যাদের জন্ম হয়েছে অবৈধভাবে- তাদের কাছ থেকে শুনতে হয় এই সমস্ত কথা। মাঠের কথা মাঠে থাকবে, আমরা জনতার সঙ্গে থাকব। জনতার পাশে থাকব। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করব, জনগণের জন্য কাজ করব। তিনি বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে, ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার কবে ছিল? নানা পদক্ষেপের ফলে, বিভিন্ন সংস্কার করে করে নির্বাচন পদ্ধতিটাকে একটা গণমুখী করেছে আওয়ামী লীগ। ভোট সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করেছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এ স্লোগান দিয়ে মানুষকে যে ভোটের সম্পর্কে সচেতন করা, এটা আওয়ামী লীগই করেছে। এটা আর কারও না। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচির নেতৃত্বে মহানগর উত্তর এবং সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে যুবলীগ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে সেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষিবিদ সমীর চন্দের নেতৃত্বে কৃষক লীগ, সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, মেহের আফরোজ চুমকি ও সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলার নেতৃত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ, সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজির নেতৃত্বে যুব মহিলা লীগ প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এদিন বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএমস কামাল হোসেন, মির্জা আর্জম, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপপ্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামিম প্রমুখ। এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের পথ হারিয়ে আবারো পদযাত্রা শুরু করেছে। তাদের এটাকে লোকে বলে পতনযাত্রা। বিএনপির আর আশা নেই, পাবলিক নেই। পাবলিক না থাকলে কীসের আন্দোলন? খেলা হবে, তৈরি হয়ে যান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের একটি মহল শত্রুতাবসে শেখ হাসিনার ভালো কাজের নিন্দা করে। আর ভালো কাজের বিরোধ সমালোচনা করে। একটা ধন্যবাদ জানানোর মতো মন এদের নেই। বাংলাদেশের বড় অর্জনের প্রশংসা করতে এরা জানে না। এরা ছোট মনের মানুষ। বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম শেখ হাসিনা।
মিলাদ মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির, সহ সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, প্রচার সম্পাদক সাইফুন্নবী চৌধুরী সাগর, দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।
শেখ হাসিনার জন্য আজকে বাংলাদেশ ধন্য: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এক আলোচনা সভায় কাজী মনিরুল ইসলাম মনু বলেছেন, আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ ধন্য। তিনি বলেন, আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই দেশজুড়ে শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে। আমার নেত্রী হচ্ছে উদার, সবাইকে নিজের সন্তানের মতো ভালো বাসেন। উনার কোনো বিকল্প নেই। আপনারা শুধু আমার নেত্রীর জন্য দোয়া করবেন। তিনি বেঁচে থাকলে আপনারা ভালো থাকবেন এবং দেশের উন্নয়ন হবে। এ সময় দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চাইলেন ঢাকা-৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। বুধবার বাদ আছর যাত্রাবাড়ির ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধলপুর রোজ কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান, যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের নেতা জিয়াউদ্দিন জিয়া, মাধ্যমিক থানা শিক্ষা অফিসার মো: হারুনর রশিদ প্রমূখ। প্রতি বছরের মতো এবারও বুধবার সকালে ৬৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের উদ্যোগে ডেমরার রানী মহলে ছিন্নমূল অসহায় এবং কল কারখানার শ্রমিকদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন ৬৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন। এদিন ডেমরার সারুলিয়া রানী মহল সিনেমা হলের পর্দায় ১৯৮১ সালের ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্বরণীয় ঘটনাগুলো প্রর্দশনের আয়োজন করেন কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।