ঢাকা পাওয়ার ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) মতিঝিল জোন ঘুষ অনিয়ম দুর্নীতি শীর্ষে, কথা বললেই লাইন কর্তন এর অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া যায় ভুক্তভোগী গ্রাহকদের কাছ থেকে। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে জানা যায়, মতিঝিল ডিপিডিসি ডিভিশনে ঘুষ অনিয়ম দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। এই সকল ঘুষ অনিয়ম দুর্নীতির মূল হোতা গুণধর সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন, আর নেতৃত্বে রয়েছে সরকারি বেসরকারি একটি দুর্নীতিবাজ চক্র। অনুসন্ধানে জানা যায়, মতিঝিলের ফকিরাপুল আরামবাগ এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত রয়েছে অগণিত প্রিন্টিং প্রেস যার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই, এ-ই সুযোগে ডিপিডিসি মতিঝিল জোন এর বেশ কিছু সংখ্যক গুণধর সহকারী প্রকৌশলী রয়েছেন তারা সারাদিন ঘুরে ঘুরে তলায় তলায় লাইন কর্তনের ভয় দেখিয়ে এবং লাইন কর্তন করে মোটা অংকের উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘুষ অনিয়ম দুর্নীতির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। জাতীয় দৈনিক কালের খবর ও বর্তমান কথা পত্রিকার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বেসরকারি টেকনিশিয়ান জাকির যে বিদ্যুতের উপর আঠারো বছরের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছে। এ-ই অভিজ্ঞতার কারণে মতিঝিল ডিপিডিসি ডিভিশনের প্রকৌশলী সহকারী প্রকৌশলীরাই ঘুষ অনিয়ম দুর্নীতির পূর্বেই? সকল কাজের কাজী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জাকিরকে স্মরণ করেন কারণ জাকির ডিজিটাল মিটার সহ সকল ধরনের মিটারের কাজ জানেন।এই বিষয়ে জানতে জাকিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাকির বলেন কমিশনের ভিত্তিতে স্যারদের কাজ করে থাকি।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ডিপিডিসি মতিঝিল জোনের ফিটারম্যান লাইনম্যান ভীম, গোরফান শামীম এনাম রাজ্জাক গংদের দিয়ে লাইন কর্তন করিয়া গুণধর প্রকৌশলী সহকারী প্রকৌশলীরা দফারফা করিয়া থাকেন।এ-ই এই ধরনের লাইন কর্তনের অসংখ্য অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।এই প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এই সকল ঘুষ অনিয়ম দুর্নীতির মূল হোতা ডিপিডিসি মতিঝিল জোন এর সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন।এ-ই আলমগীর হোসেন
এক সময় ডিপিডিসি মতিঝিল ডিভিশন এর সাবেক প্রকৌশলী মাহি আলম এর সহকারী ছিলেন আলমগীর হোসেন তখন মতিঝিল আরামবাগ ফকিরাপুল কমলাপুর গোপিবাগ অভয়দাস লেন সহ মার্কেট বিপনি বিতান বহুতল বিশিষ্ট ভবন মার্কেট কারখানার মালিকদের নিকট থেকে এসটি অডার ডিমান্ড নোট না থাকায় লাইন বিচ্ছিন্ন করার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।পিটারম্যান গোফরান,শামিম,শফিকুল, ভীম,লাইনম্যান এনাম,রাজ্জক টেকনিশিয়ান দিদার গংদের দিয়ে অনিয়ম গুলো করিয়েছে যাহা এখনো চলমান।এছাড়া অঘোষিত নির্বাহী প্রকৌশলী দাবি করা সকল কাজের কাজী ডিজিটাল মিটার টেম্পারিং এর পারদর্শী জাকির জাহাঙ্গীর খোকন হারুন গংদের দিয়ে ডিজিটাল মিটার টাম্পারিং সহ অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
এছাড়া ফকিরাপুল একটি বাড়ীর লাইন কর্তন করে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার উপরে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মতিঝিল হাদি ম্যানসন থেকে অনিয়মের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় হোটেল সুগন্ধার সামনে হোটেল মুন ও স্টুডিও ল্যাব থেকে বেসরকারি টেকনিশিয়ান ডিজিটাল মিটার টেম্পারিং করার কাজে আঠার বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পিএইচডি ডিগ্রী প্রাপ্ত সকল কাজের কাজী জাকিরকে দিয়ে ডিজিটাল মিটার পাঞ্চ করিয়ে ডিজিটাল কার্ড মিটারের ভিতর দিয়ে সরাসরি লাইন দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া মতিঝিলের একটি স্বনামধন্য রেস্তোরাঁ ফিটারম্যান দিয়ে রিডিং কমিয়ে মাসিক শূন্য টাকা বিল করার প্রমাণ পাওয়া যায় সেই স্বনামধন্য রেস্তোরাঁর শূন্য টাকা বিলের কপি পত্রিকা অফিসে সংরক্ষিত আছে।বিদ্যুৎ এর অনিয়ম দুর্নীতিতে পারদর্শী সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেনের বর্তমানে সেকেন্ড ইন কমান্ড হচ্ছে শামীম।এই সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন এর মুঠো ফোনে বার বার ফোন দিয়ে ও খুঁদে বার্তা পাঠিয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মতিঝিলে একটি স্থাপনায় মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
(অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী পর্বে)