মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ ব্যবস্থাপনায় ঐতিহ্যবাহি প্রাচিনতম নওগাঁর হাটে গরু, ছাগল, হাঁস ও মুরগি ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়েছে। প্রায় কয়েক যুগ আগেও এই হাটটিতে নিয়ামিত ভাবে পশু ক্রয়- বিক্রয় হতো। কিন্তু কালের পরিবর্তনে হাটটি ধীরে ধীরে ঐতিহ্যবাহী হয়ে উঠেছে। কিন্তু হাটটিতে সরকারিভাবে ভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহি নওগাঁর হাটটি আগের জল্যুসে আবারও স্বরূপে যৌবনে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। জমে ওঠেছে পশুর হাট। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে মাত্র ৭/৮ দিন বাঁকী এতেই ক্রেতা বিক্রায়তার পথচলনায় ভারী হয়ে উঠেছে হাট প্রাঙ্গণ। গরু ছাগল উঠেছে অনেক ক্রয় বিক্রিও হচ্ছে জমজমাট। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকট কম থাকায় ঈদুল আযহার হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে।
গরুর হাট/ছবি: মোঃ মুন্না হুসাইন বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ঐতিহ্যবাহি প্রাচিনতম নতুন গরু-ছাগলের হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নওগাঁর প্রাচিনতম হাটে ইজারাদারা গরু ছাগল ও হাঁস মরগির হাসিল আদায় করছেন অতি কম গরু ৫০০ টাকা, ছাগল ২০০ টাকা হারে।
ভিন্ন চিত্র চোখে পড়ে নওগাঁর বাজার গরু-ছাগলের হাটে। গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায় লেম পোস্টে মই দিয়ে লাগানো হচ্ছে মাইক আর হ্যালোজেন লাইট। এর থেকে একটু এগিয়ে দেখা যায় ডেকোরেটরের লোকজন মাটি খুঁড়ে গরু বাঁধার খুঁটি বসাচ্ছেন। এই হাটে এসেছে প্রায় ১৫ শো থেকে ২০০০ গরু। ক্রেতাও ছিল অনেক। আশপাশের লোকজন ও কিশোরদের গরু হাটে ঘুরতে দেখা যায়।
পশুর হাটের ব্যাপারি সামাদ বলেন বলেন, ২০ দিন আগে ভাঙ্গুড়ার হাট থেকে চারটা গরু নিয়ে এখানে আসছি। আমার এই চারটি গরুতে খরচ হয়েছে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা। লাল গরুটার দাম উঠছে ৯৫ হাজার টাকা। আর সাদা গরুর দাম চাই এক লাখ টাকা। এখন বাজার দরের অপেক্ষায় আছি। যে দাম আসবে সেই দামে বিক্রি করবো। লাভ-ক্ষতি যাই হোক বিক্রি করে বাড়ি যাবো।
গরু-ছাগলের হাটের আরও এক ব্যাপারী মোঃ আলম বলেন, সকালে গরু নিয়ে হাটে আসছি। এবার পাবনার ফরিদপুর থেকে ১৯টি গরু আনছি। এখানকার ব্যাংক সিষ্টম থেকে থাকা খাওয়া দাওয়াসহ কর্তিপক্ষের সকল ব্যবস্থাপনায় আমরা খুবখুশি।
৩নং নওগাঁর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানূর রহমান মজনু বলেন হাটি সম্পর্কে সার্বিক বিয়ষ মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিনিধিকে বলেন, সাপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার নওগাঁর ঐতিহ্যবাহি প্রাচিন হাটি অস্তিত্ব বিপন্ন জরাজির্ণ হয়ে পড়ে থাকা দীর্ঘদিন পর আবারও স্বরূপে প্রাণ ফিরে যৌবনে আসায় আমি অত্যন্ত খুশি।