শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
নবীনগর ( ব্রাহ্মনবাড়ীয়া ) প্রতিনিধি, কালের খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন নারুই গ্রামে আদালতের নির্দেশে দাফনের ৩০ মাস পর কবর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ।গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার দিকে নারুই উত্তর পারা কবরস্থান থেকে ওই মরদেহ উত্তোলন করা হয়।মরদেহ উত্তোলনকালে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসাইন।
পরিবারিক ও পুলিশের সূত্রে জানা যায়,উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন একই গ্রামের হানিফ মিয়ার সঙ্গে যায়গা নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ মিয়ার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল।এক পর্যায়ে তাদের দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ অবস্থায় ১৭/১১/২০১৯ইং তারিখে মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ মিয়া।পরে সামাজিকভাবে মরদেহ দাফন করা হয়।পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ মিয়ার স্ত্রী দাবি করেন তার স্বামীকে খুন করেছে হানিফ মিয়া সহ তার সঙ্গরা। একারণে তার মৃত্যু হয়।
গত ০৭/০৯/২১ইং তারিখে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। অবশেষে আদালতের নির্দেশে শনিবার সকালে ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন এর উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী হোসনা বেগম জানান,আমার স্বামীর স্বাথে যায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল হানিফ মিয়ার সাথে।আমার স্বামী বাজারে গেলে তাকে একা পেয়ে আক্রমন করে পরে ঐ দিন আমার স্বামী মারা যান।বিষয় টি মামলা করতে গেলে গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ নিষেধ করে তারা সমাধান করে দিবে।পরে গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিরা সমাধান করলেও হানিফ সেই সমাধানে রাজি হয় নি।পরে আমি বাদী হয়ে গত ০৭/০৯/২১ ইং তাররিখে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি।আমি এর সঠিক বিচার চাই।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন বলেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্টে সিআর মামলা হয়।সেই মামলার পরিপেক্ষিতে ও বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করি।লাশ উত্তোলন করার পর লাশের মাথা খুলি সহ ৮৭ টি হার পেয়েছি পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ মাধ্যমে কতৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নজরুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তশেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ ব্যাপারে মামলার আসামী হানিফ মিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন।