শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
‌‌সম্প্রীতি সমাবেশ। কালের খবর সড়ক ও জনপদের ৩য় শ্রেণির কর্মকর্তার সম্পদের পাহাড়। কালের খবর  পেশাদার সাংবাদিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে কাজ করছে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার : এম আব্দুল্লাহ। কালের খবর সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে শাহজাদপুরে মানববন্ধন। কালের খবর ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে হবে : ইউএনও মনজুর আলম। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান। কালের খবর ‘দেশ স্বাধীনের পর তৈরি সংবিধানে কোনো জাতির পিতা ছিল না’ : আদালতকে অ্যাটর্নি জেনারেল। কালের খবর দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে খরচ কমানোর ২৭ উপায়!। কালের খবর ওলামাদের মধ্যে রুহানী ঐক্য প্রয়োজন : জামায়াত আমির। কালের খবর আ.লীগ নেতা সুমন খান গ্রেফতার। কালের খবর
খালেদা জিয়াকে জেল খানায় অখাদ্য দেওয়া হচ্ছে আইনজীবী নেতাদের দাবি আপিলের প্রস্তুতি চলছে রায়ের কপি পেলেই দায়ের

খালেদা জিয়াকে জেল খানায় অখাদ্য দেওয়া হচ্ছে আইনজীবী নেতাদের দাবি আপিলের প্রস্তুতি চলছে রায়ের কপি পেলেই দায়ের

কালের খবর :

ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে ডিভিশন পাননি বলে দাবি করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। শনিবার বিকেলে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর মওদুদ সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।

মওদুদসহ পাঁচ সিনিয়র আইনজীবী গতকাল কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অন্য চারজন হলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, খালেদার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান এবং সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তাঁরা কারাগারের ভেতরে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন।

গতকাল বিকেল ৪টা ২৬ মিনিটে কারাগারের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয় খালেদা জিয়ার পাঁচ আইনজীবীকে। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে প্রায় অখাদ্য দেওয়া হচ্ছে। নির্জন কারাবাস বলতে যা বোঝায়, ম্যাডামকে তা দেওয়া হয়েছে। জনমানবহীন পরিবেশে রাখা হয়েছে। ডিভিশন দেওয়া হয়নি।

সাধারণ কয়েদিদের যা খেতে দেওয়া হয়, চেয়ারপারসনকে তা-ই দেওয়া হয়েছে, যা প্রায় অখাদ্য। ’
মওদুদ আরো বলেন, ‘যে গৃহপরিচারিকাকে ছাড়া ম্যাডাম ১৫-২০ বছর চলতে পারেন না, সেই ফাতেমাকেও এখনো থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এটা সরকারেরই দেখা দরকার। ’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করব আমরা। ’ এক প্রশ্নের জবাবে মওদুদ বলেন, ‘রায়ের কপি পেলে সোম বা মঙ্গলবার আপিল করব। খালেদা জিয়া অসুস্থ। হাঁটুর ব্যথায় একা একা কষ্ট পাচ্ছেন। অথচ ডিভিশন দেওয়া হয়েছে বলে প্রপাগান্ডা করা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী তিন ক্যাটাগারিতে তিনি ডিভিশন পান। দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সংসদ সদস্য ছিলেন, একটি দলের প্রধান। অথচ তাঁকে সাধারণ কয়েদির মতো রাখা হয়েছে। একদম নির্জন এক সেলে। সম্পূর্ণ একা। ’

এর আগে দুপুর ২টার দিকে বিএনপিপন্থী চার আইনজীবী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও ডিভিশনের জন্য একটি আবেদন নিয়ে যান কারাগারে। তাঁরা কারাগারের পাশে দায়িত্বরত পুলিশকে সেই আবেদন গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা তাঁদের আবেদন কারা অধিদপ্তরে দেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর আইনজীবীরা তাঁদের আবেদন কারা অধিদপ্তরে জমা দিতে যান। আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন মাহমুদ হাসান, এহসানুর রহমান, তাহেরুল ইসলাম ও এস এম জুলফিকার আলী।

কারা সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেওয়াসংক্রান্ত কোনো নির্দেশ আদালত বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পায়নি কারা কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারা কর্মকর্তা গতকাল সন্ধ্যায় কালের খবরকে বলেন, ‘আমাদের কাছে ডিভিশনসংক্রান্ত কোনো নির্দেশ এখনো আসেনি। ’ তিনি আরো বলেন, ‘শুক্রবার, শনিবার অফিস বন্ধ রয়েছে। রবিবার অফিস খোলার পর নির্দেশের বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। ’

আপিলের প্রস্তুতি : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের জাবেদা নকল না পেয়েই হাইকোর্টে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আজ রবিবার রায়ের কপি পাওয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া কালের খবরকে বলেন, ‘আমরা রায়ের কোনো কপি পাইনি। তবে আপিলের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আমরা আইনজীবীরা দফায় দফায় বসছি। কী করণীয় তা আলাপ-আলোচনা করছি। রায়ের কপি ছাড়াই আপিল আবেদনের খসড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে। রায়ের অনুলিপি হাতে পেলে চূড়ান্ত করা হবে। ’

অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, যেদিন জাবেদা নকল হাতে পাওয়া যাবে পরের দিনই আপিল করা হবে। আপিল আবেদনের সঙ্গে জামিনের আবেদনও করা হবে। আজ তাঁরা জাবেদা নকল পাওয়ার চেষ্টা করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল থেকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৭৩৪ টাকা অন্য ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে আত্মসাতের দায়ে গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com