বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
নবীনগরে মহেশ রোডের উন্নয়ন কাজে ধীরগতি চলাচলে চরম দুর্ভোগ
এম আই ফারুক আহমেদ, নবীনগর ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া ) প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর মহেশ সড়কের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের ধীরগতিতে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। সড়ক নির্মাণে ধীরগতির কারণে সড়কগুলো বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে চলাচলকারীরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে । এদিকে ভাঙা সড়কে এখন শত শত সিএনজি, অটোরিকশা, টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
উক্ত সড়কটি ব্যবহার করে ছয় ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। রাস্তাটি চলাচলের অনুপয়োগী হলেও তার যেন দেখার নেই কেউ। কবে শেষ হবে বিটঘর মহেশ সড়ক নির্মাণ কাজ তাও জানা নেই করো।
জানা যায়, বিটঘর বাজার থেকে মহেশ রোড হয়ে কুড়িঘর বাজার পর্যন্ত সড়কগুলো বেহাল অবস্থায় ছিল। এবেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচলে সাধারণ মানুষের ছিল চরম ভোগান্তি । তাই বিটঘর মহেশ প্রধান সড়ক নির্মাণের দাবি ছিল এলাকাবাসীর । দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৯ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) অধীনে বরাদ্দে বিটঘর বাজার থেকে মহেশ রোড হয়ে কুড়িঘর বাজার পর্যন্ত ১২ হাজার ২৫০ মিটার রাস্তা ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের (মে) মাসে, এখন চলছে অক্টোবর মাস, কাজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও লকডাউন সহ বিভিন্ন অজুহাত দেখায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ (জেভি)।
এলাকাবাসীর প্রতিবাদের পর অবশেষে আবারও শুরু হয় রাস্তার কাজ। এখনো কাজের নেই কোন অগ্রগতি, কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে । ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সড়ক নির্মাণ কাজে ধীরগতি থাকায় সড়কগুলো বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।
এলাকাবাসী জানান, ছোট-বড় গর্তের কারণে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ সময় পার হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এখনো নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি। তাদের গাফিলতির কারণে নির্মাণকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিটঘর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, বিটঘর মহেশ সড়ক ব্যবহার করে ছয় ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। রাস্তাটি চলাচলের অনুপয়োগী হওয়ায় প্রতিনিয়ত তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় এলাকার হাজার মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম, কাজের ধীরগতির কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছ থেকে ৫ মাসের সময় নিয়েছেন। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। এব্যপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে যথেষ্ট তাগিদ দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।