ঢাকায় নামবে ১২০টি নতুন বাস। ছবি: সংগৃহীত
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে শুরু হচ্ছে বাস রুট রেশনালাইজেশনের প্রথম ধাপ। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চলবে এ পরিবহনের ১২০টি নতুন বাস। প্রায় ২১ কিলোমিটারের এ রুটে প্রতি কিলোমিটার যাতায়াত ভাড়া ২ টাকা ২০ পয়সা।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ১৮তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি এই বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি। এ সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, নগরের সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত এক বছর আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল ও দুরূহ ছিল। এখন আমরা লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি আছি। ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর একটি পাইলটিং রুট নির্ধারণ করেছি। এ রুটে নতুন নিয়ম এবং পদ্ধতিতে বাস চলবে।
তিনি বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বর এ রুটে ১২০টি বাস চলাচল শুরু হবে। আপাতত এটা আমরা চূড়ান্ত করেছি। বাসগুলো জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় কয়েকটি কোম্পানির মাধ্যমে বাস চলবে।
ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর নতুন এ রুটে কোনো পুরোনো বাস চলবে না বলে জানান মেয়র তাপস। তিনি বলেন, এখন এই রুটে যে বাসগুলো চলছে, সেগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারির পর কেনা বাসগুলো থাকবে। বাকি বাসগুলো উঠিয়ে নেওয়া হবে। এর সঙ্গে নতুন বাস যোগ হবে। আমাদের এই পরিকল্পনার বিষয়ে পরিবহন মালিকরা সম্মতি দিয়েছেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় গণপরিবহনে একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে নগরে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আসবে বলে বিশ্বাস করছি। এতে চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাব থাকবে না।
আতিক আরও বলেন, নতুন এই রুটে ৪০টিরও বেশি নতুন যাত্রী ছাউনি করা হবে। পাশাপাশি বাস বে হবে ১৬টি। ইচ্ছে থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে আপাতত বাস বে’র সংখ্যা বাড়ানো যাচ্ছে না। এছাড়া এ রুটের বাসগুলোর রং কী হবে, তা আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রস্তাব আকারে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ অক্টোবর বাসের রং নির্ধারণ করা হবে।