শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি দলীয় কর্মসূচিতে স্লোগান দিয়েছেন সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন। ওই স্লোগানের ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

ওই ওসি বলেন, তিনি ‘আবেগ থেকে’ এ স্লোগান দিয়েছেন।

বুধবার (৪ আগস্ট) রাত ১২টা ১ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণে অনুষ্ঠানে স্লোগান দেন ওসি আক্তার হোসেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ওই অনুষ্ঠানে মোমবাতি প্রজ্বলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় ও কেক কেটে জন্মদিন উদ্‌যাপন করা হয়।

শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য  ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সদর উপজেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌরসভা কমিটির সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন। তিনি সেখানে দলীয় স্লোগান দেন। তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। ২৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে মোমবাতি হাতে ওসি আক্তার হোসেন স্লোগান দিচ্ছেন, তার সঙ্গে সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু ও আওয়ামী লীগের নেতারা কণ্ঠ মেলাচ্ছেন। স্লোগানে ওসি বলেছেন, ‘শুভ শুভ শুভ দিন, শেখ কামালের জন্মদিন’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘আমরা সবাই মুজিব সেনা, ভয় করি না বুলেট বোমা’

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শেখ কামালের জন্মদিন অনুষ্ঠানে পালং মডেল থানার পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে ওসি আমাদের সঙ্গে কর্মসূচিতে অংশ নেন। ওসি আক্তার হোসেন এক সময় ছাত্রলীগ করতেন। তিনি কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, আমি ছাত্রলীগ করতাম। আওয়ামী লীগের নেতাদের অনুরোধে ও আবেগের কারণে স্লোগান দিয়েছি। এতে কোনো বিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করছি না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা প্রকাশ্য এমন কর্মকাণ্ড করতে পারেন না। এ কাজটি করে পালং মডেল থানার ওসি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজিকে জানানো হবে।