বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার, কালের খবর : রাজপথে বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গীদের মোকাবিলাসহ কেন্দ্রের নির্দেশে তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে সব সময় সরব রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিনের অর্ন্তভূক্ত যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার ১৪দলের সমন্বয়ক হারুনর রশীদ মুন্না। প্রায় দুই যোগের বেশি সময় তিনি বৃহত্তর ডেমরা ও বর্তমানে যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সততার সাথে। ভালো বাসেন দলের কর্মীদের নিয়ে সকাল-বিকেল আড্ডা দিতে। শুধু তাই নয়, দলের কর্মীদের বিপদে-আপদে ছুটে চলেন অবিরাম। তাই কর্মীরাও তাকে (হারুনর রশীদ মুন্না) ভালো বাসেন এবং একমাত্র অভিভাবক হিসেবে মনে করেন। কর্মী বান্ধব এই নেতা যাত্রাবাড়ি থানাধীণ কাজলা ভাঙ্গাপ্রেস এলাকায় নিজ বাসায় প্রতিদিন জমিয়ে আড্ডা দেন এবং তাদের বিপদে-আপদে পাশে দাড়ান। এই জন্য কর্মী বান্ধব-মাঠের ত্যাগী নেতা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হারুনর রশীদ মুন্না। সবাই তাকে মুন্না ভাই নামেই ডাকেন। বিগত বছরগুলো দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী যখন যে নির্দেশনা দিয়েছেন অক্ষরে অক্ষরে তিনি তা পালন করেছেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় জেল জুলুম ও পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন একাধিক বার। এরপরও দলীয় মনোনয়ন পাননি মাঠের পরীক্ষিত এই কর্মী। তাতেও তার বিন্দু মাত্র আক্ষেপ নেই। গতকাল সোমবার সকালে কথা হয় যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্নার সাথে। তিনি বলেন, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী,এটাই সবচেয়ে বড় কথা। চাওয়া-পাওয়ার কিছু নাই। নেত্রী যখন যে নির্দেশনা দেবেন একজন আর্দশ কর্মী হিসেবে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। জানি না,কতটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। তবে চেষ্ঠার কোনো কমতি রাখিনি। একপ্রশ্নের জবাবে ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার ১৪দলের সমন্বয়ক হারুনর রশীদ মুন্না বলেন, তৃণমূলের কর্মীরাই আমার প্রাণ। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করব। কেউ যদি তার কথার বাইরে যায়, তাহলে সবাই তাকে প্রত্যাখ্যান করবেন। শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশ সমৃদ্ধ এবং উন্নত হবে। একইসুরে কথা বলেছেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও ৪৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আবুল কালাম অনু। গতকাল সোমবার দুপুরে এ প্রতিবেদকের সাথে একান্তে আলাপ হলে তিনি জানান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিন ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভা/সমাবেশ থেকে শুরু করে সকল কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে সবার আগে অংশ নেয় যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড-ইউনিট। তিনি বলেন, দলের কর্মীদের চাঙ্গা রাখার কৌশল হিসেবে প্রতি মাসে বিশেষ সভা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরবাইরে আমি ও আমার নেতা যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্না নিজ বাড়িতে কর্মীদের নিয়ে প্রতিদিন বৈঠকের আয়োজন করেন। মুড়ি-চানাচুর দিয়ে কর্মীদের আপ্যায়ন করা হয়। এছাড়াও একেক সময় একেক ওয়ার্ড-ইউনিটে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় নেতাদের স্বরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি সামাজি-সাংস্কৃতিক ও স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানেও কর্মীদের ভালো থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। তিনি বলেন, দলের কোনো কর্মী অসুস্থ কিংবা বিপদে পড়লে তাৎক্ষনিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমরা মনে করি প্রত্যেক আওয়ামী লীগ কর্মী আমাদের পরিবারের সদস্য।