শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নবীনগরে এসিল্যান্ডের অভিযানে ২০ হাজার ৪ শত টাকা জরিমানা। কালের খবর সখীপুরে টিনের বেড়া কেটে স্বর্নলংকারসহ নগদ টাকা চুরি! তাড়াশে তুষ ও হারিকেন পদ্ধতিতে উৎপাদিত হচ্ছে হাঁসের বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টেকহোল্ডারগণের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর নবীনগরে লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ প্রাইভেট হাসপাতালকে ইউএনও এর অর্থদন্ড। কালের খবর শিবগঞ্জে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। কালের খবর জিল্লার রহমান সাবেক সচিব তিন হাজার মোটর সাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা। কালের খবর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন পলাশবাড়ীর এম.এ রব মিয়া। কালের খবর শাহজাদপুরে জাতীয় স্থানীয় সরকার উন্নয়ন দিবস পালিত। কালের খবর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার ইনোসাইটস শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত। কালের খবর
শিক্ষকের এক মাসে চারবার বদলির আদেশ

শিক্ষকের এক মাসে চারবার বদলির আদেশ

কালের খবর : নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত এক শিক্ষকের বদলির বিষয়ে এক মাসে চারবার আদেশ দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে। খুলনায় বিভাগীয় উপ-পরিচালকের দপ্তরে একের পর এক আদেশ পৌঁছানোর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুজ্জামানের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও এলাকাবাসীর লিখিত ১৩ দফা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ২ জানুয়ারী খুলনা বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ওয়ালিউর ইসলাম তাকে অন্যত্র শাস্তিমূলক বদলি করেন। একই সঙ্গে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করেন।

আরেক আদেশে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জি এম মিজানুর রহমানকে প্রধান শিক্ষক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষক নূরুজ্জামান তিন দিনের অতিরিক্ত ট্রানজিট সুবিধা সময়ের মধ্যেও নতুন চাকরিস্থলে দাকোপ উপজেলায় যোগদান না করে বদলি আদেশ পরিবর্তন করে ফেলেন।

সূত্র জানায়, মাত্র ১০ দিনের মাথায় ১৮ জানুয়ারি নিজের স্বাক্ষর করা বদলি আদেশ নিজেই স্থগিত করেন খুলনা বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ওয়ালিউল ইসলাম। এরপর গত ২১ জানুয়ারি যুগ্ম সচিব বিজয় ভূষণপাল (পরিচালক, পলিসি ও অপারেশন) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানা যায়, বিভাগীয় উপ-পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা, খুলনা বিভাগ, কার্যালয়ের জারিকৃত কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুজ্জামানকে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার পূর্ব কলাবগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির আদেশটি বাতিল করা হয়েছে।

কিন্তু ওই বাতিল আদেশের কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কিংবা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে পৌঁছানোর পূর্বে কোন রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই কর্মস্থলে অফিস করছেন প্রধান শিক্ষক মো. নূরুজ্জামান। যা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১৩টি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত হয়।

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে শাস্তি হিসেবে দাকোপ উপজেলার একটি স্কুলে বদলি করেন।
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খুলনা মো. তবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, মো. বাবুল আক্তার খানসহ অন্যদের আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পাঠানো নির্দেশনা মোতাবেক তদন্ত করা হয়। তদন্তে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থলোপাট, চাঁদাবাজি, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, অশিক্ষকসূলভ কর্মকাণ্ড, অফিসের গোপন তথ্য ফাঁস, স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ তের দফা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ কারণে শাস্তির সুপারিশ করা হয়।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com