রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
সিলেট থেকে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম হাসান, কালের খবর :
সিলেটর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ভড়াউট গ্রামে ভূমি বিরোধের জের ধরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা আব্দুল জব্বার (৫৫) খুন হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ মে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে।
এ ব্যাপারে নিহত আব্দুল জব্বারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাদী হয়ে একই গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে ১. বোরহান উদ্দিন ফাহিম, ২. আবিদ আহমদ, ৩. মারজানা আক্তর ববি, ৪. কলি আক্তার, ৫. মৃত তছরুল্লাহর ছেলে আব্দুস ছাত্তার, ৬. আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী আনছারুন নেছা-কে আসামী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১০, তারিখ- ০৮-৫-২০২০ইং।
মামলার ১নং আসামী বোরহান উদ্দিন ফাহিমকে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে ঘটনা দিনই সাথে সাথে, বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ১ থেকে ৪নং আসামী নিহত আব্দুল জব্বাবেরর ভাতিজা-ভাতিজী, ৫নং আসামী ভাই ও ৬নং আসামী ভাবী। মামলা বাদী ও আসামীগণ একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে বসবাস করে আসছে। বসত বাড়ির জায়গা সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। প্রায় সময় কোন কারণ ছাড়াই আসামীগণ বাদীর পরিবারের লোকজনদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ মারমুখি আচরণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ মে শুক্রবার দুপুরে আড়াইটার দিকে ১নং আসামী নিহত আব্দুল জব্বারকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আব্দুল জব্বার গালিগালাজের বাধা নিষেধ করলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সমূহ আসামীগণ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে আব্দুল জব্বারের উপর হামলা চালিয়ে এলোপাতারি ভাবে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। ঠিক সেই সময়ে ১নং আসামী বোরহান উদ্দিন ফাহিম তার পকেটে থাকা চাকু দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর স্বামী আব্দুল জব্বার এর মাথায় ও পিঠে উপর্যুপরি আঘাত করে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। স্বামীকে বাঁচাতে বাদী এগিয়ে গেলে তাকেও আসামীগণ এলোপাতারি ভাবে কিলঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। আসামীদের নিষ্ঠুর আঘাত থেকে বাদীর শিশু সন্তান মিনহাজও (৭) রক্ষা পায়নি। তার ডান হাত জখম হয়। বাদীর আরেক ছেলে মারুফ আহমদ এগিয়ে আসলে তাকেও লাঠি দিয়ে এলোপাতারি ভাবে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। তাদের আর্তচিৎকার শোনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আসামীদের কবল থেকে বাদীর স্বামী আব্দুল জব্বারকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিকাল সোয়া ৩টার সময় সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে এদিকে আমাদের রিপোর্টার এর সাথে কথা হয়
বাদী কানিজ ফাতেমারও বাদী কানিজ ফাতেমার ভাই মোহাম্মদ এনাম আহমদের সাথে তিনি তিনি আমাদেরকে জানান যে ভুলবশত আব্দুল সাত্তার এর স্ত্রী আনছারুন নেছাকে ৬ নম্বর আসামি দিয়েছি আসলে উনাকে দেওয়া উচিত ছিল এক নাম্বার আসামি এবং আমরা আপনাদের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমাদের একটাই দাবি যাহাতে আমাদের ভুলটা সমাধান করে আসামে আনছারুন নেছাকে ১ নং আসামী দেওয়া হয়।
এবং তার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাাস্তির দাবী জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত গতকাল- ১১ মে, সোমবার বিকাল ৪ টার নিহত আব্দুল জব্বারের ভড়াউট গ্রামে তথ্য সংগ্রহের জন্য সহ এসব তথ্য আমাদেরকে জানান নিহত আব্দুল জব্বারের স্ত্রী বাদি কানিজ ফাতেমা ও উনার ভাই মোহাম্মদ এনাম আহমদ।
এব্যাপারে মোবাইল ফোনে কথা হয় দক্ষিণ সুরমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ফজল এর সাথে, তিনি তিনি জানান আসামি যেই হোক, এবং যেখানেই থাকুক খুব শিগগিরই আমরা আসামী গ্রেফতার করবো ইনশাল্লাহ। এবং আমরা ঘটনার দিনই সাথে সাথেই একজন আসামী আমরা গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছি বলে জানান।