সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
আমরা ঘরে বসেই এবারের নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করবো : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কালের খবর

আমরা ঘরে বসেই এবারের নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করবো : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কালের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘরে বসে সবাইকে উপভোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই আহ্বান জানান তিনি।

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালির সর্বজনীন উৎসব বাংলা নববর্ষ। প্রতিটি বাঙালি আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে থাকেন এই উৎসব। এ বছর বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে পহেলা বৈশাখের বহিরাঙ্গণের সব অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে বৃহত্তর জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে। কারণ, এরইমধ্যে এই ভাইরাস আমাদের দেশেও ভয়াল থাবা বসাতে শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশে এবং প্রবাসে বাঙালিরা বাংলা নববর্ষ আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করে থাকেন। রাজধানীতে রমনা পার্ক, চারুকলা চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ নগরীর বিভিন্ন স্থান মানুষের ভিড়ে মুখরিত থাকে এদিনে। গ্রামীণ মেলা, হালখাতাসহ নানা অনুষ্ঠানে গোটা দেশ মেতে ওঠে।’

‘এবার সবাইকে অনুরোধ করবো কাঁচা আম, জাম, পেয়ারা, তরমুজসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল সংগ্রহ করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়িতে বসেই নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করুন। আপনারা বিনা কারণে ঘরের বাইরে যাবেন না। অযথা কোথাও ভিড় করবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন, পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করুন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানও জনসমাগম এড়িয়ে রেডিও, টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানও আমরা একইভাবে উদযাপন করবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ঘরে বসেই এবারের নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করবো। কবিগুরুর কালজয়ী গান- ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো/মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ গেয়ে আহ্বান করবো নতুন বছরকে। অতীতের সব জঞ্জাল-গ্লানি ধুয়ে-মুছে আমরা সামনে দৃপ্ত-পায়ে এগিয়ে যাবো; গড়বো আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’।

বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। স্মরণ করেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ অন্যদের।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের দ্রুত অবসান হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের যে গভীর আঁধার আমাদের বিশ্বকে গ্রাস করেছে, সে আঁধার ভেদ করে বেরিয়ে আসতে হবে নতুন দিনের সূর্যালোকে। কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষায় তাই বলতে চাই- ‘মেঘ দেখ কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে; হারা শশীর হারা হাসি,অন্ধকারেই ফিরে আসে।’

** জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com