মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি, কালের খবর : দিনাজপুরের দশমাইল হাইওয়ে থানার ওসি মো. আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন যানবাহন থেকে তিনি প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকার বেশি চাঁদা নেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে।
সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে (রংপুর রোড) সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ের হল রুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, এই সংগঠনের সদস্যদের বাস ও কোচ আশপাশের জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পরিবহন সেবা দিয়ে আসছে। অথচ রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে দশমাইল হাইওয়ে থানার ওসি মো. আব্দুল মালেকের চাঁদাবাজিতে মালিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। ওসি মালেক দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দশমাইল হাইওয়ে থানায় রয়েছেন। তিনি নীলফামারীর বাস ও কোচগুলোকে চিহ্নিত করে মহাসড়কে কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের নামে হয়রানি করেন। রিকুইজিশনের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিদিন চাঁদা নেন। দুর্ঘটনার শিকার প্রতিটি গাড়ি ছাড় করতে নানা রকম ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখিয়ে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ চান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকার মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি, চাঁদের গাড়ি, ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক অবৈধ ঘোষণা করেছে।
অথচ সরকারের এ ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন ওসি মালেক। বিনিময়ে তিনি প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পকেটে তোলেন। এতে একদিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে মহাসড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এর মাধ্যমে মানুষের প্রাণহানি ঘটছে এবং জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও ওসি মালেক সম্প্রতি রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের দেবীগঞ্জ বাজারের একটি ধানের চাতাল থেকে তিন মাদক সেবীকে আটক করেন। রাতের আঁধারে ঘুষের বিনিময়ে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দেন। আটক তিনজনের ছবিও দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ওসি আব্দুল মালেকের চাঁদাবাজির ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। অন্যথায় সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচির ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
সমিতির সভাপতি তৌকির আহমেদ কেনেডির সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আহসানুল হক মুকুল, উপজেলার ৩ নম্বর ফতেজং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ লুনার প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোফাক্খার আলী স্বপন, সহসভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম সরকার, সহসাধারণ সম্পাদক মো. নাজির আহম্মেদ প্রমুখ।
অভিযুক্ত ওসি মো. আব্দুল মালেক কালের খবরকে বলেন, ‘অভিযোগগুলোর একটিও সত্য নয়। ’
বগুড়া অবস্থানকারী হাইওয়ে পুলিশের সুপার (এসপি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনেছি। আমি বিষয়টি দেখব। ’
দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন ।