রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
∼
পুলিশের সিপাহী নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি দেয়ার নাম করে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি জালিয়াত চক্রের মূল হোতাসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সালাম মন্ডলের ছেলে সেতু মন্ডল, তার সহযোগী শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার পাঠাকাটা গ্রামের মোঃ আবু সুফিয়ানের ছেলে মোকারম হোসেন, পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া দুই পরীক্ষার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা গ্রামের পবন সিংহের ছেলে ফুলচাঁন সিংহ, একই উপজেলার ভুটিটোলা গ্রামের গাজরুল ইসলামের ছেলে আমিন আলী, চক্রের সদস্য শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা গ্রামের মৃত আবু বাক্কারের দুই ছেলে মনিরুল ইসলাম ও আবদুস সালাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার মসজিদপাড়ার মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী তাজেরুল বেগম ও শিবগঞ্জের পুকুরিয়া গ্রামের মৃত তসির উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন।
আজ সোমবার দুপুর আড়াইটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি.এম মোজাহিদুল ইসলাম তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় পুলিশের সিপাহী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রক্সি দেয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরে আর কোনো পরীক্ষার্থীর হয়ে বাইরের কেউ লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে কি না বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে অস্বাভাবিক নম্বর পাওয়ায় দুই পরীক্ষার্থী ফুলচাঁন সিংহ ও মনিরুল ইসলামকে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরবর্তীতে পুলিশ লাইনে ডেকে তাদের হাতের লেখা মিলানো হলে পরীক্ষার খাতার লেখার সঙ্গে গরমিল ধরা পড়ে। একপর্যায়ে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করে চাকরির জন্য একটি চক্রকে মোটা অংকের টাকা দিয়েছেন তারা। পরীক্ষার্থীর ছবি পরিবর্তন ও পুলিশ সুপারের স্বাক্ষর জাল করে ওই চক্রের সদস্যরাই তাদের পক্ষে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম আজ ভোর ৪টার দিকে বগুড়া শহরের মাটিডালি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের মূল হোতা সেতু মন্ডল ও তার সহযোগী মোকারম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় এই চক্রের অপর চার সহযোগী মনিরুল ইসলাম, আবদুস সালাম, তাজেরুন বেগম ও আনোয়ার হোসেনকে। এসময় এই চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
কালের খবর -/৫/৩/১৮