মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি, কালের খবর :
বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়মসহ চাঁদাবাজি ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি আই) আবু নাঈম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চাঁদাবাজি ও হুমকির ঘটনায় টিআই আবু নাঈম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ও অতিরিক্ত আইজিপি (অপরাধ-৩) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন আঁখিনুর চৌধুরী নামের সাংবাদিক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবু নাঈম সিদ্দিকী নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল-সাইনবোর্ড হাইওয়ে পুলিশের ইন্সেপেক্টর (টিআই) হিসেবে যোগদান করার পর থেকে অবৈধভাবে শিমরাইল (চিটাগাং রোড) সাইনবোর্ডের উত্তর ও দক্ষিন পাশে ঘর নির্মাণ করে গাড়ীর কাউন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান ভাড়ার নামে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে আসছে। টিআই আবু নাঈমকে দিনের বেলায় সড়কে দেখা না গেলেও রাতের বেলা বিভিন্ন সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে সাইনবোর্ড ও চিটাগাং রোড এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়সহ মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে আটকিয়ে মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করছে প্রতিদিন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর আবু নাঈম সিদ্দিকী শিমরাইল- সাইনবোর্ড এলকার মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতাসহ মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করে জনসাধারণকে অতিষ্ঠ করে তোলার ঘটনাও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে ওই সাংবাদিক আরও উল্লেখ করেন, আবু নাঈমের এসব অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে আসছে মসজিদে রাসুলুল্লাহ (সা:) জামে মসজিদের কর্তৃপক্ষ। মসজিদের কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বেশ কয়েকদিন যাবৎ উত্তর সাইনবোর্ড এ নির্মাণাধীন মসজিদে রাসুলুল্লাহ (সা:) জামে মসজিদের নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করে আসছে টিআই আবু নাঈম। পাশাপাশি মসজিদে রাসুলুল্লাহ (সা:) জামে মসজিদ ভাঙ্গার হুমকি দিয়েছেন। টি আই আবু নাঈম মসজিদ ঘর ভেঙ্গে উক্ত জায়গায় সিএনজি স্টেশন বানাতে চান। আর তিনি সেখান থেকে মোটা অংকের মাসোয়ারা আদায় করবে বলে জানান এলাকাবাসী।
গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত প্রায় দেড়টার সময় মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনের জন্য থাকার ঘর নির্মাণের জন্য ট্রাক মাটি ফেলে যাওয়ার পর, টি আই আবু নাঈম সিভিল পোশাকে ১০-১২ জন পরিবহন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে মসজিদ ও মোয়াজ্জিনের থাকার ঘর ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় প্রদিবাদ করলে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও মুঠোফোনে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আবু নাঈম সিদ্দিকীর সাথে মোবাইলে কয়েক বার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।