শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
আক্তার হোসেন ভূইয়া, মুরাদনগর (কুমিল্লা), কালের খবর : কুমিল্লার মুরাদনগরে বাড়িতে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার আন্দিকোট ইউনিয়নের জাড্ডা গ্রামে মৃত হাসান আলীর ছেলে ফোরকান উদ্দিন স্বপন (৪১) এর নেতৃত্বে ওই ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার সকালে এই ঘটনার পর ভুক্তভোগি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করলে, তাকে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেয় ওসি। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগি পরিবারটি নিরাপত্তাহিনতায় আছে।
ঘটনার শিকার ভুক্তভোগি একই গ্রামের মৃত আব্দুল আলিম মাষ্টারের ছেলে মসিউল আলম (৩০) বলেন,আমার পৈত্রিক বাড়ি ১৩.৩০ শতক দখল করার জন্য দির্ঘদিন ধরে পায়তারা করে আসছে ফোরকান উদ্দিন স্বপন। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে একাদিকবার স্থানীয় মাতাব্বরগন টেষ্টা করলেও স্বপন তা ডিনাই করে। পরে গতশুক্রবার সকালে আমি আমার বসত বাড়িতে কাজ করার সময় কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই স্বপন আট থেকে নয়জনকে নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর করে আমাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। প্রান ভয়ে বাড়ির অন্যসব সদস্যরা দিকবেদিক ছুটাছুটি করে কোন রকম প্রানে বেচে যাই। ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর বাড়িতে এসে দেখি আমাদের দুইটা মোবাইল নিয়ে গেছে ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে তারা। এই ঘটনায় শুক্রবার বিকালে মৃত হাসান আলীর তিন ছেলে ফোরকান উদ্দিন স্বপন (৪১), শাহজাহান মিয়া (৫০), বোরহান উদ্দিন (৪৫), ও মৃত গনি মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া (৪৫), রফিক মিয়ার ছেলে রাশেদুল আলম ইমন (২৪), রহিম মাষ্টারের ছেলে আজহারুল ইসলাম (২৮), কামরুল ইসলাম (৩৬), শাহজাহান মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (২৭) ও সোহাগ মিয়া (২২) নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে। ওসি সাহেব এসআই পলাশকে ঘনাস্থলে পাঠায়। পরে রহস্য জনক কারণে তিনি মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন আমাকে। থানায় মামলা না নেয়ায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
অভিযোক্ত ফোরকান উদ্দিন স্বপনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, মসিউল আলম আমার জায়গায় টিন দিয়ে বেড়া দেয়ায় আমি তা ভেঙ্গে দিয়েছি। আর আমার বিরুদ্ধে গ্রাম্য শালিসি মানিনা বলে যে অভিযোগ করেছে তা সম্র্পন্ন মিথ্যা।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জায়গা জমি সংক্রান্ত জাড্ডা গ্রামের মসিউল আলম একটি অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু বাড়ির সীমানা নিয়ে দন্ধ আমরা এই অভিযোগটি আদালতে করার পরামর্শ দিয়েছি।
কুমিল্লা কোর্টের আইজীবি এড. সৈয়দ তানবির আহমেদ ফয়সালের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ যদি অতর্কিত হামলা করে কমপক্ষে পাচ হাজার টাকা মূল্যের জিনিসপত্র নিয়ে যায়, তাহলে এই ঘটনায় থানার ওসি মামলা নেয়ার একতিয়ার আছে।