শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
ইয়াছিন আরাফাত আশিক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, কালের খবর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী কামাল ভুইয়া আশংকাজনক অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছেন। তিনি উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের বাসিন্দা। গত ২১অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় আখাউড়া উপজেলার মোগড়া বাজারস্থ দক্ষিণ সিএনজি স্ট্যান্ড মসজিদ রোডের সামনে কামাল ভুইয়াকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পিটিয়েছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। অভিযুক্তরা হলেন গঙ্গানগর গ্রামের আনিছ মিয়া(৫২), আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া (২৫), আনিছ মিয়ার স্ত্রী পারভীন আক্তার, জাংগাল গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে নবীর হোসেন (২৮) ও সাইদুল মিয়া, মৃত জজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার( ৩৮), কমল মিয়ার ছেলে ছোটন মিয়া (৩৫), আনিছ মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া ( ৩০) এবং গংগানগর গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া( ২৭) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬/৭ জন। এই ঘটনায় আহত কামাল ভুইয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামাল ভুইয়া মোগড়া বাজারের একজন ব্যবসায়ী। তিনি গত ২০ অক্টোবর তার মেয়ের বাসা কুমিল্লায় বেড়াতে যায়। সেদিন বিকাল ৫ ঘটিকার সময় গঙ্গানগর গ্রামের আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া কামাল ভুইয়ার মার্কেটের সামনে বালু রাখার জন্য বললে মার্কেটের ভাড়াটিয়া দোকানদার লিটন মিয়া মোবাইল ফোনে তা কামাল ভুইয়াকে অবগত করেন। পরে কামাল ভুইয়া মোবাইল ফোনে বাবু মিয়াকে বালু রাখতে নিষেধ করেন। এতে বাবু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল ভুইয়াকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মোবাইল রেখে দেয়। মেয়ের বাসা কুমিল্লা থেকে ২১ অক্টোবর বাড়ীতে আসার পর সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে আসার পর আনিছ মিয়া ও তার ছেলে বাবু মিয়ার নেতৃত্বে কামাল ভুইয়ার ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত কামাল ভুইয়ার স্ত্রী আছমা বলেন, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। তাছাড়া লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিঠে, ঘারে ও হাতে আঘাত করে গুরুতর জখম করেছে। আমার স্বামীর প্যান্টের পকেট থেকে মাছ ব্যবসার এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আমার স্বামী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন বলেন, ‘মার্কেটের সামনে বালু রাখা নিয়ে আনিছ মিয়ার ছেলে বাবুর সাথে কামাল ভুইয়ার কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া এলাকা থেকে লোকজন এনে মারামারি করেছে৷ কামাল ভুইয়ার অবস্থা মৃত্যুর মুখে,ঢাকায় ল্যাবএইডে আইসিইউতে আছে। আজ আইনমন্ত্রী মহোদয় হসপিটাল ম্যানেজমেন্টকে ইনফর্ম করে দিয়েছেন তার চিকিৎসা যাতে ভালো হয়।’
এবিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা নিয়েছি। এযহার নামীয় দুজন আসামীকে এরেস্ট করা হয়েছে। অপর এযহার নামীয় আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে।’
মামলার তদন্তকারী আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর ( নিরস্ত্র) মোঃ আবু ছালেক বলেন, ‘মার্কেটের সামনে বালু রাখা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। যেদিন মারামারি হয়েছে সেদিনই নবীর হোসেন ও আনোয়ার নামে দুইজন এরেস্ট হয়েছে।’