শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
ইয়াছিন আরাফাত আশিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, কালের খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরুল হক নামে এক কৃষকের ফসল নষ্ট করে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বচিয়ারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গত ১৭ অক্টোবর বিকাল ৫ ঘটিকার সময় বচিয়ারা গ্রামের মাহতাব মুন্সির ছেলে মোঃ নুরুল হককে একই গ্রামের মৃত আল আমিনের ছেলে রাহিম মিয়া (১৮) ও জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী জোসনা বেগম(৩৫) সহ মোট নয়জন মিলে মারধর করে। তাদের হামলায় আহত নুরুল হক ৯৯৯ এ ফোন দিলে আখাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আখাউড়া থানায় জিডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরুল হক একজন কৃষক। তিনি তার বসত বাড়ির পাশে নিজ মালিকানাধীন জমিতে বিভিন্ন জাতের কৃষি করে ব্যবসা করেন। ঘটনার দিন হামলাকারীদের কয়েকটি গরু তার কৃষি জমিতে প্রবেশ করে গাছগাছালি খেতে আরম্ভ করলে তিনি গরুগুলো তাড়াইয়া দেয়৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাহিম মিয়া ও জোসনা বেগম গংরা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করে নুরুল হককে এলোপাতাড়ি চর, থাপ্পড়, কিল, ঘুষি মেরে আহত করে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান৷ এরপর হামলাকারীরা তার জমিতে থাকা লাউ,মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স, মরিচ, চাল কুমড়া, কাচকলা ইত্যাদি গাছ সবজিসহ মাটি থেকে তুলে ছিড়ে ফেলে ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক নুরুল হক বলেন,‘ বাগানে গরু ঢুকছে। গরুগুলো তাড়ানোর জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে ফসল নষ্ট করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন হামলাকারীদের বাড়ির তিন জন পুরুষ মারপিটের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যায়৷ তাদের লোকজন জেল থেকে বের হয়ে আমাকে শায়েস্তা করবে বলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আখাউড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’ এই ঘটনার পর অভিযুক্তরা বাড়ি থেকে পলাতক থাকায় প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য নিতে পারেনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বচিয়ারা গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছগুলো দেখে এসেছি, ঘটনা সত্য।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার এসআই ( নিরস্ত্র) মোঃ নিজাম উদ্দীন জানান, কিছু ফসল নষ্ট করেছে, গাছগাছালি তুলে ফেলে দিছে। মারার জন্য (তার ভাই, ভাতিজা, ভাতিজার বউরা) দৌড়ানি দিছে৷ ওরা( হামলাকারীরা) বিভিন্ন লোকজনের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে। তাদের সঙ্গ না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এটা তদন্তের বিষয়। কোর্টে অনুমতি চেয়েছি, তদন্তের অনুমতি আসুক, প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করবো।