সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক গ্রেফতার, অত:পর মুক্তি। কালের খবর মুরাদনগরে তীব্র গরমে একই বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ। কালের খবর ফায়ার ও পরিবেশ ছাড়পত্র জানতে চাওয়াতে ম্যানেজার সাকিল, সাংবাদিকের সাথে অশুভ আচরণ। কালের খবর সাতক্ষীরার আলীপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুর রউফ বিজয়ী। কালের খবর মুরাদনগরে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ১জন নিহত। কালের খবর স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা জরুরি। কালের খবর সাতক্ষীরায় চার পিচ স্বর্ণের বার সহ আটক এক। কালের খবর সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই। কালের খবর তারুণ্যের অহংকার ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত। কালের খবর এক দফার আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে বর্তমান যুবদল সরকারের সাথে আঁতাত করেছিল : অভিযোগ সাবেক নেতাদের। কালের খবর
হোটেল-মোটেলে পর্যটকদের কাছ থেকে গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছে

হোটেল-মোটেলে পর্যটকদের কাছ থেকে গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছে

কালের খবর প্রতিবেদক : একুশে ফেব্রুয়ারি এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে চার দিনের ছুটি নিয়ে অনেকেই কক্সবাজার বেড়াতে গেছেন। পর্যটকদের বাড়তি চাপের সুযোগে রীতিমতো ডাকাতি শুরু করেছেন সেখানকার হোটেল-মোটেল মালিকরা। পর্যটকদের থেকে ২-৪ গুণ পর্যন্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিটি হোটেল-মোটেল থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যে যেমন পারছে গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে। কক্সবাজারে চার শতাধিক হোটেল-মোটেলে এমন নৈরাজ্য চললেও বিচ ম্যানেজমেন্ট ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা নেই।

ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা চরম হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। বুধবার সকাল থেকে কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোন কলাতলিতে ঘুরে পর্যটকদের কাছ থেকে এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পর্যটকরা বলছেন, অন্যান্য দিনগুলোতে একটি রুমের ভাড়া যত নেয়া হয়, এখন তার চেয়ে দুই থেকে চার গুণ ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা রুমা ও শাহীন দম্পতি বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে এসে কলাতলির সী সান হোটেলে একটি নন-এসি রুম নিয়েছি। এই রুমের জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রথমে চার হাজার টাকা দাবি করে। অনেক অনুরোধের পর আমাদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। অন্য সময়ে নেয়া হয় মাত্র এক হাজার টাকা। এসব গলাকাটা বাণিজ্য বন্ধে জেলা প্রশাসনের কঠোর হওয়া দরকার।’

যশোর থেকে আসা পর্যটক নাজিম উদ্দিন জানান, সী পার্ক হোটেলে একটি নন-এসি কাপল রুম চাচ্ছে তিন হাজার টাকা যা অন্য সময়ে আটশ’ থেকে এক হাজার টাকা দিয়ে পাওয়া যায়।
এদিকে তাহের ভবন গেস্ট হাউস নামে একটি হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কাপল রুম ভাড়া নেয়া হচ্ছে তিন হাজার টাকা করে। একই অবস্থা কক্সবাজারের সাড়ে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও কটেজে।
জানতে চাইলে তাহের ভবন গেস্ট হাউসের ম্যানেজার আতাউর রহমান মোল্লা পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের কোনো নির্ধারিত ভাড়া নেই। আজকের রুম ভাড়া বেশি। পর্যটক বেশি থাকায় আজকে তিন হাজার টাকা করে নন-এসি রুম ভাড়া দেয়া হচ্ছে। দু-একদিন পরে এই ভাড়া কমে যাবে।’
অন্যদিকে সী সান রিসোর্টের কর্মকর্তা মো. আরিফের কাছে কোনো নির্ধারিত ভাড়া আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো কিছু বলেননি।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুহ রহমান জানান, পর্যটকদের কাছে যেই সব হোটেল-মোটেল মালিক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন, তাদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, পর্যটকদের কাছে রুম ভাড়া বেশি নেয়ার বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। তবে কোনো পর্যটক সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কক্সবাজার, কালের খবর  ২১/২/১৮

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com