বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ন
এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর :
কখনো পথচারিদের মাঝে খাবার বিতরণ আবার কখনো গরীব-দু:খী ও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে চাল-ডাল,তরিতরকারি নিয়ে বাসায় হাজির হন তিনি। পরিচালনা করেন নিজে একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানও। এলাকার ছোট-বড় সবার কাছে মানবিক নেতৃত্বের বলিষ্ঠ উদাহরণ মো: সোহেল খান। তিনি ছাত্রলীগের মাতুয়াইল ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদকত এবং যুবলীগের দায়িত্বশীল পদেও ছিলেন। এখন ৬৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী।
এলাকাবাসির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছোট বেলা থেকেই সোহেল খান মানুষের উপকার করে আসছেন। এ জন্য বাবা-মায়ের দেওয়া সামান্য খরচও গরীব বন্ধুদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। কখনো কখনো ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ঘরের খাবার নিয়ে হাজির হতেন। শুধু তাই নয়, এলাকার মুরুব্বীরা তার বাবাকে বলতেন, একদিন তোমাদের সোহেল মানবিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করবে। হয়েছেও তাই। সোহেল খানের মধুবাগের অফিসে প্রতিদিন ২০-২৫জনের জন্য খাবার রান্না করা হয়। প্রতিদিনই অসহায় মানুষজন এখানে খেতে আসেন। তাদের মধ্যে গরীব রিকসা ওয়ালা থেকে শুরু করে অনেকেই আসেন এবং দুপুরের খাবার খায়। এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাছে কর্মী বান্ধব, আস্থা ও বিশস্ত একজন সংগঠক হিসেবে পরিচিত সোহেল খান। একথায় বলতে গেলে ইতিমধ্যে তিনি নেতাকর্মীদের শেষ আশ্রয়স্থলে হিসেবে পরিণত হয়েছে। সরকারি দলের যে কোনো সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী সমস্যায় পড়ে তাকে স্মরণ করা মাত্র তাদের পাশে হাজির হন সোহেল খান। এছাড়া ও
৬৪-৬৫ এবং ৬৬ নং এলাকার মসজিদ-মন্দির-গীর্জা, ঈদগাহ্-কবরস্থানের উন্নয়নে আর্থিক অনুদান, কারো মেয়ের বিয়ে সেখানেই হাজির হন মানবিক সোহেল খান। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে সেখানে সোহেল, রমজান মাস জুড়ে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ, ঈদ-পুজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে হতদরিদ্রদের মাঝে কাপড়-খাবার বিতরণ, শীতার্তদের মাঝে গরম কাপড় বিতরণ, শিশুসদনের শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোষাক ও খাবার বিতরণ, যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে খেলা-ধুলার সামগ্রী বিতরণসহ সমাজের ইতিবাচক প্রতিটি কাজে নিজের সর্বোচ্চ সরব অবস্থানের জানান দেন সোহেল খান। ২০২০ সালে দেশে প্রথম হানা দেয় মহামারী করোনা ভাইরাস ,কিছুদিন পরেই সরকার সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেন। এতে গৃহবন্দী হয়ে পড়ে খেটে খাওয়া নানা পেশা শ্রেনির মানুষ। বিশেষ করে দিনমুজুর, শ্রমিক, রিকশা চালক, ভ্যান চালক,রাজমিস্ত্রীসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। সে সময় নিজের জীবনের নিরপত্তার কথা না ভেবে যাত্রাবাড়ি-ডেমরার (বিশেষ করে ৬৪,৬৫ ও ৬৬ নং ওয়ার্ড) বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে অসহায় মানুষের কাছে খাবার তুলে দিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে পরীক্ষিত নেতা মো: সোহেল খান ২০০২-২০১৩ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ২০১৭ সালে বৃহত্তর মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৫ আসনে ৬৪ নং ওয়ার্ড নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপসকে বিজয়ী করতে সর্বাত্মক ভুমিকা পালন করেন। এছাড়াও সাবেক মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করতে গিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৪ সালে একাধিক মিথ্যা মামলা-হামলার শিকার হন। জেল-জুলুম নির্যাতনের পাশাপাশি সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ মোজাম্মেল হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। তবে প্রতিহিংসার রাজনীতিতে তিনি বিশ্বাস করেন না। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক হয়ে আজও মানবতার ফেরিওলার কাজগুলো করে যাচ্ছেন মো: সোহেল খান।