শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
তাড়াশে ইরি বোরো ধান কাটা শুরু। কালের খবর কাজ করতে গিয়ে বাড়িতে ফিরলো শ্রমিকের লাশ!। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি সংকটে খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা। কালের খবর ডেমরায় ৬৭ নং ওয়ার্ডের মেহনতি মানুষের মাঝে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ করেন জননেতা তৌফিকুর রহমান শাওন। কালের খবর যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর সাতক্ষীরায় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালী। কালের খবর সাতক্ষীরার আলীপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুর রউফ বিজয়ী। কালের খবর উপজেলা নির্বাচনে রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দুলুর প্রার্থীতা ঘোষণা। কালের খবর কক্সবাজারে স্পা’র আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। কালের খবর ডেমরায় পরিবহনে চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৩ চাঁদাবাজ। কালের খবর
মরে প্রমাণ করলেন তাকে কবর দেয়ার পরও ১১দিন জীবিত ছিলেন তিনি

মরে প্রমাণ করলেন তাকে কবর দেয়ার পরও ১১দিন জীবিত ছিলেন তিনি

কালের খবর : ব্রাজিলের এক নারী মরে প্রমাণ করলেন তাকে কবর দেয়ার পরও ১১দিন তিনি জীবিত ছিলেন।

রোজংলা আলমেদিয়া দোস সান্তোস নামে ৩৭ বছর বয়সি ওই নারী বাস করতেন রিয়াচও দাস নেভেস কাউন্টিতে। তাকে মৃত ভেবে সমাহিত করার পর ১১ দিন পর্যন্ত তিনি ওই কবরে কফিনের ভেতর জীবিত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গত মাসে রোজংলাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তার পরিবার। সাত দিন চিকিৎসা চলার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যু সনদ অনুযায়ী, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং সেপটিক শকে তার মৃত্যু হয়। পরের দিন রোজংলাকে কবর দেয় তার পরিবার।

রোজংলাকে কবর দেওয়ার পর থেকেই কবরস্থানের কাছাকাছি বসবাসকারীরা কবরের ভেতর থেকে চিৎকার শুনতে পান। তবে সবাই প্রথমে বিষয়টিকে এড়িয়ে যান। কারণ তারা ভেবেছিলেন আশপাশে হয়তো বাচ্চারা খেলছে। তাদেরই চিৎকার। তবে যখন প্রত্যেকদিন একই রকম আওয়াজ তারা শুনছিলেন, তখন কিছুটা শঙ্কিত হয়ে রোজংলার পরিবারকে খবর দেন। পরবর্তী সময়ে কবরস্থানে এসে রোজংলার কফিন ভাঙেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। সত্যিই মারা গিয়েছেন তিনি।

কবর থেকে রোজংলার কফিন তোলার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কফিনটি খোলার পর অনেককে বলতে শোনা গেছে, অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথা। কেউ একজন রোজাংলার পায়ে হাত দিয়ে বলছেন, শরীর এখনও উষ্ণ আছে। এছাড়া রোজংলার হাতে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। যা তার মৃত্যুর সময় ছিল না। এটা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, কফিন থেকে বেরিয়ে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কফিনের পেরেকগুলো উপর দিকে উঠে ছিল। কফিনের ভেতরে রক্ত ও নখ দিয়ে আঁচড়ানোর দাগও ছিল।

রোজংলা সান্তোসের বোন ইসামারা আলমেইদা স্থানীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষৎকারে বলেন, আমরা চিকিৎসকদের দোষ দিতে চাই না, কোনো মামলাও করতে চাই না, কিন্তু আমরা পুরো বিষয়টা দেখেছি, কোনো মানুষকে মাটি দেয়ার ১১ দিন পরও তার দেহ উষ্ণ থাকবে- এটা কোনোভাবেই সম্ভব না।

রোজংলার পরিবারের দাবির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ প্রধান অরনাল্ডো মন্টে। তিনি বলেন, ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে যাবতীয় সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে রোজংলাকে মৃত ঘোষণাকারী হাসপাতালের একজন মুখপাত্র।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com