শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহমেদুর রেজা জানান, আটককালে ইয়াছিন মিয়ার কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ ব্রিটিশ পাউন্ড, ২ হাজার বাহরাইন দিনার, ৪০০ মার্কিন ডলার, ৬ হাজার ৩০০ ওমান রিয়াল, ৪০ হাজার সৌদি রিয়াল, ১০০ কুয়েতি দিনার, ৩ হাজার ৩৭৫ এমিরেটস দিরহাম এবং ৫৯ হাজার ৬৪০ বাংলাদেশি টাকা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব বিদেশি মুদ্রা বাংলাদেশি টাকায় ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার ২ টাকার সমান মূল্যমানের।
মুদ্রা পাচারচেষ্টার অভিযোগে আটক হওয়া ইয়াছিন মিয়া রাজধানীর লালবাগের ১৫ নম্বর হরমন সিলিস্টিতে থাকেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলেন, ‘ঢাকা থেকে শারজাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ার এয়ারলাইনসের বিজি ১৫১ ফ্লাইটে ইয়াছিন মিয়ার সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিমানে ওঠার আগেই আন্তর্জাতিক বহির্গমন লাউঞ্জ থেকে তাঁকে বিদেশি মুদ্রাসহ আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রেসিডেন্ট আইডেনটিটি কার্ড পাওয়া যায়।’
আহমেদুর রেজা বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াছিন মিয়া নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করেন বলে জানিয়েছেন। তিনি মাসে চার-পাঁচবার বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাতায়াত করেন।’
এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।