মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
ইয়াছিন আরাফাত (আশিক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি, কালের খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে আগুন লাগিয়ে প্রতিপক্ষের বসতঘর পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।গত ১২মে রাত ১টার সময় উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের মনির হোসেনের বসত ঘরে আগুন লাগে। ওই ঘটনার বিচার চেয়ে মনির হোসেনের স্ত্রী সুলতানা আক্তার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মনির হোসেনের স্ত্রী সুলতানা আক্তার বলেন,পূর্ব শত্রুতার টাকা পাওনার জেরে আমাদের ঘায়েল ও হয়রানী করার জন্য গত ২২এপ্রিল পূর্ব পরিকল্পনা করে বাবুল মিয়ার মেয়ে ঝুমুর আক্তার মামলা করলে পুলিশ আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর মহসিন মিয়া, বাবুল মিয়া,শাকিল মিয়া,হারুন মিয়া,ঝুমুর আক্তার, শেফালী বেগম গংরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। গত ১২মে রাতে আমাকে মারধর করে আমার বসতঘরে কেরোসিন ও পেট্রোল ঢেলে দিয়াশলাইয়ের আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় তারা। আমার একটি বসতঘরের আসবাবপত্র পুড়ে এবং আরো একটি ঘরের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে আমার প্রায় অনুমান ৪/৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরে আমাদের ডাক চিৎকার শুনে গ্রামবাসী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
মনির হোসেনের মা আছিয়া বেগম বলেন,প্রায় ১২ বছর আগে আমার স্বামী মৃত রমজান আলী সৌদি আরবে মারা গেলে লাশ দেশে আনার সময় ২২লাখ ২০ হাজার টাকা লাশের সাথে পেয়েছিলাম। ওই টাকা বড় ছেলে শরীফ হোসেনের হাতে দিলে শরীফ ও তার স্ত্রী ঝুমুর আক্তার আত্মসাৎ করে।তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে প্রাণে হত্যাসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।আমি ও আমার ছোট দুই ছেলে মনির হোসেন ও রাজিব হোসেনকে মারধর করে। গত ১৮ই রমজান আমার পাওনা টাকা ফেরত দিতে বলায় মাজেদা বেগম(৮০) কে শরীফের স্ত্রীও শ্বাশুড়ি অনেকগুলো থাপ্পড় মারে।অজ্ঞান অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হলি ল্যাব প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মোগড়া ইউপি ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ- তাজুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাজেদা বেগমকে ঝুমুর আক্তারের মা গালিগালাজ করেছে বলে শুনেছি।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরের লোকজন ঝুমুরের পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। পরবর্তীতে কে বা কারা রাতের বেলায় মনিরের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। মনিরের বসতঘরের পাশাপাশি আশেপাশের পুরো এলাকা পুড়ে যেত ওই রাতের ঘটনায়। ঝুমুর ও তার স্বামী শরীফের কাছে টাকা পাওনা থাকলে সেটা তাদের পারিবারিক বিষয়।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আগুন লাগিয়ে বসতঘর পোড়ানোর মতো এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।