শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
মোঃ বাবুল, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), কালের খবর : ব্রাক্ষণবাড়িয়া নবীনগরে এক ইউপি সদস্য প্রতিবেশি বিধবা নারীর সাথে অপকর্ম করতে গিয়ে বিধবার ছেলের হাতে আটক হয়েছে।
বুধবার গভীর রাতে উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিধবা নারীর ছেলে ও পাড়া প্রতিবেশিদের হাতে আটক হয় ইউ/পি সদস্য। আটককৃত ইউ/পি সদস্য হলেন ৩নং ওয়ার্ডের আবুল খায়ের। ঘটনার পর গ্রামের মাতব্বররা রাতভর সভা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।
জানা যায়, ৫২ বছর বয়সী খায়ের মেম্বার নারী লোভী। ঐ রাতে বিধবার নারীর ঘরে ঢোকার পর খবর পেয়ে বিধবার ছেলে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকলে ইউ/পি সদস্য কৌশলে অন্য একটি দরজা দিয়ে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য দৌড়াতে থাকে। তাকে তাড়া করে ধরে ফেলে বিধবার ছেলে সহ প্রতিবেশীরা। ঘটনাটি কেউ একজন ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে সোমবার তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনার পর থেকেই এই ইউ/পি সদস্য লোক লজ্জায় ঘরে বসে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু বিধবার মুখ বন্ধ রাখতে গ্রামের প্রভাবশালীদের পাঠিয়ে হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনার পর থেকে শাহবাজপুর গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ খায়ের মেম্বার ও বিধবার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নবীনগরের শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহবাজপুর গ্রামের আবুল খায়ের তার গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর দেওয়ার কথা বলে কয়েকমাস ধরে জনৈক মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করে আসছে।
শুধু এই বিধবা মহিলা নয়, বিধবার মতো আরো তিন নারীর সাথে খায়ের মেম্বারের পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ রয়েছে।
এই বিধবা ও খায়েরের প্রেম অল্পদিনের হলেও তা গভীর রূপ ধারণ করে। দুইজন দুইজনের বাড়িতে বসে লোক মারফতে খোঁজ খবর রাখেছেন প্রতিনিয়ত। তাদের দুজনের প্রেমের গল্প এখন শাহবাজপুর গ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে আশেপাশের ইউনিয়ন জুড়েই আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে।
হাটে বাজারে ও বিভিন্ন গ্রামের চায়ের দোকানে মোবাইলে মোবাইলে সবাই দেখছে মায়ের প্রেমিককে কিভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে ঝাঁপিয়ে ধরে ছেলে মাহাবুব।
তবে এ বিষয়ে বিধবার বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বলেন, গ্রামের সরদারদের অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারবেন না।
এদিকে আবুল খায়ের মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিধবার সাথে প্রেমের সর্ম্পক ও অনৈতিক কাজের কথা অস্বীকার করেন। তিনি এলাকার মদ, গাঁজা ও জুয়ারিদের বিরুদ্বে ভূমিকা নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলে জানায়।
এদিকে শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাবুল, মেম্বারের সমালোচনা করে বলেন, আবুল খায়ের একজন মেম্বার হয়ে এমন কাজ করা মোটেও ঠিক হয়নি। তিনি নিজেও এ ঘটনায় লজ্জিত।
এবিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আমিনুর রশিদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।