রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ অপরাহ্ন
কালের খবর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ২০০১ এ ক্ষমতায় এসে দেশের সাক্ষরতার হার কমিয়েছে। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সাক্ষরতার হার বেড়েছে। বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭২.৩ শতাংশ দাঁড়িয়েছে, যা আরো বাড়বে।রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষকদের চিন্তায় আরো আধুনিক হতে হবে। শিক্ষিত জাতি ছাড়া একটা দেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়। মেধাশূন্য দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়তে জাতির পিতা মাত্র কয়েক বছর সময় পেয়েছিলেন। তিনি তখনই প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছিলেন। তিনি নারী শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তাদের শিক্ষাও অবৈতনিক করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার প্রসারে আমরা বহুমুখী ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি আরও ৩-৪ বছর সময় পেতেন তাহলে দেশ আজ পিছিয়ে থাকতো না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একটি বিধ্বস্ত দেশকে দাঁড় করাতে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তিনি যদি আরও ৩-৪ বছর সময় পেতেন তাহলে দেশ পিছিয়ে থাকতো না, এগিয়ে যেতো। তার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের জীবন থেকেও ২১ বছর ঝরে গেছে নিষ্ফলা হিসেবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। তিনি যদি ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারতেন তাহলে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে আজ অনেক উন্নয়ন হতো। ক্ষমতায় এসে আমরা শিক্ষারও ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলাম। এটা ছাড়া কোনও জাতি শিক্ষিত হতে পারে না, এগিয়ে যেতে পারে না। ড. কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশন বঙ্গবন্ধুর হাতে রিপোর্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পদক্ষেপ নেওয়ার সময় পাননি। তার আগেই তাকে হত্যা করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে বলেন, জিয়াউর রহমান নাকি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু তিনি শুধু স্বাধীনতা বিরোধীদের সুযোগ করে দিতেই সেই ব্যবস্থা শুরু করেন। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্র বলতে যদি তারা স্বাধীনতা বিরোধীদের সুযোগ করে দেওয়াকে বোঝান, তাহলে এখানে আমার কিছু বলার নেই।