বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ন
ত্রিমোহনী গুদারাঘাটের বড় বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় নৌকায় মানুষ পারাপার হচ্ছেন। ত্রিমোহনী বেপারিবাড়ী এলাকায় নড়াই নদের ওপরে রয়েছে ১টি সাঁকো, যা দিয়ে আফতাবনগরে যাওয়ার রাস্তায় ওঠা যায়। বাবুর জায়গা হাল ঘাটা ও বাবুর জায়গা ক্লাব ঘাটে রয়েছে দুটি বড় সাঁকো। আর বালুর পাড় গ্রামে নড়াই নদের ওপরে রয়েছে ১টি বড় সাঁকো। তাছাড়া লায়নহাটি গ্রামেও রয়েছে ১টি মাঝারি ব্রিজ।
নাসিরাবাদের দাসেরকান্দি এলাকায় গজাইরা খালের ওপর একটি পাকা ব্রিজের কাজ শুরু হলেও শেষ হতে এখরও অনেক দেরি। তবে ধীরগতিতে কাজ চলা এ ব্রিজটি অধিবাসীদের কোনো কাজে আসবে না। ওই ব্রিজে চলাচল শুরুর আগে প্রয়োজন ত্রিমোহনী গুদারঘাটে একটি পাকা ব্রিজের। যার কোনো পরিকল্পনা ডিএসসিসির নেই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাসিরাবাদের অধিকাংশ এলাকা ৬ মাস পানিবন্দি থাকে। তাছাড়া, এখানকার অভ্যন্তরীণ গ্রামগুলোতে কোনো সড়ক নেই, আছে শুধু হাঁটার অপ্রশস্ত কাঁচা সড়ক। এসব এলাকায় শুধু নৌকা চলে।
হায়দার আলী নামে নাসিরাবাদ গ্রামের এক প্রবীণ ব্যক্তি যুগান্তরকে বলেন, নাসিরাবাদে যুগের পর যুগ ধরে মানুষ অসহায় অবস্থায় বসবাস করছেন। এখনও এ এলাকায় মানুষ শত শত ঝুলন্ত পায়খানা ব্যবহার করছেন।
নাসরিন সুলতানা নামে বাবুর জায়গা গ্রামের এক বাসিন্দা যুগান্তরকে বলেন, চুরি-ডাকাতির সময় পুলিশ খবর পেলেও সহজে আসতে পারে না। তাই নাসিরাবাদের বাসিন্দারা সব সময় ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করেন।
ডিএসসিসির ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আকবর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ত্রিমোহনী গুদারাঘাটের প্রায় ২শ’ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করতে ৫/৬ লাখ টাকার প্রয়োজন। এখানে ব্রিজ নির্মাণও খুব জরুরি। এসব বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করা হয়েছে।
খিলগাঁও অঞ্চল-২ আঞ্চলিক কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ত্রিমোহনী গুদারাঘাটের ভেঙে যাওয়া ব্রিজের বিষয়ে মেয়র ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। বাঁশের সাঁকো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা নিরাপদ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করব। এক্ষেত্রে স্টিলের সেতু নির্মাণের বিকল্প পরিকল্পনা করা হতে পারে।