শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই। কালের খবর তারুণ্যের অহংকার ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত। কালের খবর এক দফার আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে বর্তমান যুবদল সরকারের সাথে আঁতাত করেছিল : অভিযোগ সাবেক নেতাদের। কালের খবর রোববার ৫ নির্দেশনায় খুলছে স্কুল-কলেজ, , বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক। কালের খবর সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে লাভবান কৃষক, খিরা যাচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর তীব্র গরমে পথচারীদের সুপেয় পানি সরবরাহ করছে ফায়ার সার্ভিস। কালের খবর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর
শিক্ষকের এক মাসে চারবার বদলির আদেশ

শিক্ষকের এক মাসে চারবার বদলির আদেশ

কালের খবর : নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত এক শিক্ষকের বদলির বিষয়ে এক মাসে চারবার আদেশ দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে। খুলনায় বিভাগীয় উপ-পরিচালকের দপ্তরে একের পর এক আদেশ পৌঁছানোর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুজ্জামানের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও এলাকাবাসীর লিখিত ১৩ দফা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ২ জানুয়ারী খুলনা বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ওয়ালিউর ইসলাম তাকে অন্যত্র শাস্তিমূলক বদলি করেন। একই সঙ্গে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করেন।

আরেক আদেশে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জি এম মিজানুর রহমানকে প্রধান শিক্ষক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষক নূরুজ্জামান তিন দিনের অতিরিক্ত ট্রানজিট সুবিধা সময়ের মধ্যেও নতুন চাকরিস্থলে দাকোপ উপজেলায় যোগদান না করে বদলি আদেশ পরিবর্তন করে ফেলেন।

সূত্র জানায়, মাত্র ১০ দিনের মাথায় ১৮ জানুয়ারি নিজের স্বাক্ষর করা বদলি আদেশ নিজেই স্থগিত করেন খুলনা বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ওয়ালিউল ইসলাম। এরপর গত ২১ জানুয়ারি যুগ্ম সচিব বিজয় ভূষণপাল (পরিচালক, পলিসি ও অপারেশন) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানা যায়, বিভাগীয় উপ-পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা, খুলনা বিভাগ, কার্যালয়ের জারিকৃত কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুজ্জামানকে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার পূর্ব কলাবগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির আদেশটি বাতিল করা হয়েছে।

কিন্তু ওই বাতিল আদেশের কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কিংবা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে পৌঁছানোর পূর্বে কোন রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই কর্মস্থলে অফিস করছেন প্রধান শিক্ষক মো. নূরুজ্জামান। যা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১৩টি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত হয়।

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে শাস্তি হিসেবে দাকোপ উপজেলার একটি স্কুলে বদলি করেন।
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খুলনা মো. তবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, মো. বাবুল আক্তার খানসহ অন্যদের আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পাঠানো নির্দেশনা মোতাবেক তদন্ত করা হয়। তদন্তে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থলোপাট, চাঁদাবাজি, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, অশিক্ষকসূলভ কর্মকাণ্ড, অফিসের গোপন তথ্য ফাঁস, স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ তের দফা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ কারণে শাস্তির সুপারিশ করা হয়।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com