শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার মোঃ তপছিল হাছান, কালের খবর : চাঁদপুর মতলব দক্ষিণে অগ্নিকান্ডে এক কৃষকের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডে নগদ অর্থ, আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মালিক। গতকাল (১২ মে) মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের সরকার বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত মো. আউয়াল সরকারের ছেলে মো. আম্বর আলী সরকার ও তার স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের লোকজন কেউ ঘটনার দিন বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার দিন তারা পাশের বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। গতকাল ১২ মে ভোরে আগুনের সূত্রপাত ঘটলে পথচারিরা আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে ডাকচিৎকার দিলে আশপাশের লোকজনসহ আম্বর আলী ও তার পরিবারের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিস প্রায় ৪০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষনে আগুনে বসতঘর, নগদ ৫০ হাজার টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণ, আসবাবপত্র, জমির দলিলপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত আম্বর আলী ও তাহার স্ত্রী জানান, এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারীরা আমার ঘরে আগুন লাগিয়েছে। এতে আমার ঘর পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে এবং ৮ মে বিকাল আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় আমার পাসের বাড়ির লোকজন এতে আমার ঘরের চোকাট বেড বিছানা সোকেইস সহ ইত্যাদি দিশি অস্ত্র দিয়ে কবিয়ে চলে যায়। তিনি আরো বলেন যে ইন্দনদাতা (১) মিনটু সরকার (২) কিরন কবিরাজের মেয়ে নাদিয়া আক্তার (৩) মফিজুর সরকারের ছেলে অন্তর সাথে প্রেম হওয়াতে তাদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে কিন্তু আমাদের বাড়ির ছেলেদের কে রাতেই আদারে এসে ঘরদুয়ার বেঙ্গে তাদের ইচ্ছে মতন মেরে চলে যায় কিন্তু এখানে আমাদের মেরেছে অন্য দিকে আমাদের ছেলে সন্তান দেরকে ভূয়া মামলা দিয়ে হয়রানি শিকার করা হচ্ছে আমাদের কি অপরাধ আর অন্য দিকে আমার আর কিছুই রইলো না। তিনি বলেন একের পড়ে শুধু আমাদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে এ-ই মহামারী করোনা ভাইরাসে মধ্যে দিয়ে যারা আমার ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে আমি তাদের বিচার চাই।
মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটতে পারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক, ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদার এবং মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাদেরকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।