মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
পথশিশুসহ সকল শিশুর সুরক্ষায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পৃথক শিশু অধিদপ্তর গঠনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি বলেন, শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মমতার কারণেই শিশু বাজেট চালু হয়েছে।
ইতোমধ্যে শিশু অধিকার সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে শিশু অধিদপ্তর করার মতো সময়োপযোগী দাবিটি প্রধানমন্ত্রী পুরণ করবেন বলে আমরা আশা করতেই পারি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে এসএস চিল্ডেন ভিলেজ অডিটরিয়ামে স্ট্রিট চিলড্রেন একটিভিস্টস নেটওয়ার্কস (স্ক্যান) আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক পথশিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর নাসির। স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল উত্থাপিত মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন পথশিশু পুর্বাসন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবুল হোসেন, দাতা সংস্থা কেএনএইচ জার্মানি’র কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মারুফ রুমি মমতাজ, মানুষের জন্য ফাউণ্ডেশনের পাবলো নেরুদা প্রমূখ।
আলোচনায় ডেপুটি স্পিকার বলেন, পথশিশুদের সঠিক পরিসংখ্যান নিরুপন করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করলে তার ভিত্তিতে সরকার পথশিশুদের ভাগ্যন্নোয়নে অবশ্যই কাজ করবে। আর সেজন্য দরকার একটি শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর।
যার মাধ্যমে একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শিশুদের নিয়ে কাজ করা সহজ হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছানোর স্বার্থে পথশিশু ও প্রতিবন্ধী শিশুদেরও মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এবিষয়ে আন্তরিক। তবে সরকারের পাশাপাশি সকল সংস্থা ও সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার-বেসরকারী সংস্থাগুলোকে সমন্বিত ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শিশুদের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয়, তা সঠিকভাবে সময়মত শিশুদের কল্যাণে যাতে খরচ হয় সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে। আন্ত:মন্ত্রণালয় সভার মাধ্যমে শিশু অধিকার সংক্রান্ত কাজগুলোকে ভাগ করে নিয়ে যথাযথ ভাবে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিশুদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে বাজেটের সুষম ব্যয় নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সেমিনার শেষে আন্তর্জাতিক পথশিশু দিবস উপলক্ষে স্ক্যান আয়োজিত চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় প্রথমবারের মত সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত শিশুদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সবশেষে শিশুরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।