শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর
গোদাগাড়ীর আরেক মাদক সম্রাট কোটিপতি মিজান প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে ! মাদকসহ ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। কালের খবর

গোদাগাড়ীর আরেক মাদক সম্রাট কোটিপতি মিজান প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে ! মাদকসহ ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। কালের খবর

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি, কালের খবর  : মাদক নির্মূল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন তৎপর তখনই দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছে গোদাগাড়ীর মাদক মনিবরা। আবার অনেকেই পদ্মার ওপারে সিমান্ত এলাকায় মুক্ত বাতাসে বসে হিসেব করছে টাকার। হিসেব করছে তার কোথায় কত সম্পদ।এদেরই শীর্ষে রয়েছে মিজান নামক এক মাদক লর্ড।মিজানের আরেক নাম বাঁঠা মিজান। চাপাই নবাবগঞ্জ আলাতুলীর সিমান্ত এলাকায় বাড়ি হওয়ায় যোগাযোগ থাকে ইন্ডিয়ার লালগোলায়। অভাব অনটনের সূত্র ধরে যার কর্ম ছিল দিন মজুরী । পাশাপাশি ইন্ডিয়া থেকে লবনের চোরায় ব্যবসা। লবন ব্যবসার সূত্র ধরে পরিচয় হয় লালগোলার মাদক উৎপাদনকারীদের সাথে। সেখান থেকে মাদক এনে বিক্রয়ের সুযোগ হয় গোদাগাড়ী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এরই ধারাবাহিকতায় নাম ওঠে কোটিপতির তালিকায়।

মাদক সম্রাটদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতে অট্টলিকা স্থাপন করে গোদাগাড়ীর সরমংলা নামক গ্রামে। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা। সরমংলার সাধারন মানুষ মাদক বিরোধী হওয়ায় কোনঠাসা হয়ে পড়ে বাঠা মিজান। চরম মুহুর্তে পাশে এসে দাড়ায় বৃটিশ নামের এক ব্যক্তি। বৃটিশের আরেক নাম চামচা বৃটিশ।
তাতে খুশি হয়ে বাঠা মিজান বৃটিসকে ব্যবসায়ীক পার্টনার হিসেবে গ্রহন করে। বৃটিসের সহযোগিতায় গ্রামের অসহায়, হতদরিদ্র ছেলে মেয়েকে কাজে লাগায় মাদক বহনের বাহন হিসেবে। এদেরই একজন সাদ্দাম যাকে মাদক চুরির অভিযোগে গাছে বেধে মারধর করে বৃটিস এবং তারই চাচাতো ভাই খাবির। সে মাদক ফেরত না দেওয়ায় পুলিশের সহযোগিতায় মাদক দিয়ে তাকে চালান করা হয় ক্ষমতার দাপটে। এরই মাঝে বৃটিশ গ্রামে প্রচার করে মিজানের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে চোখ উপড়ে ফেলবে। এলাকাবাসী ভয়ে ভীত হয়ে বন্ধ করে দেয় মিজানের সমালোচনা।বর্তমানে মিজানের সম্পদের হিসেব করলে দেখা যায় গোদাগাড়ীর বিভিন্ন জায়গায় শত্তুর বিঘা জমি সহ আলিশান অট্টলিকা। মুজুর থেকে কোটিপতি মিজান এখন চরম অভিযানের মধ্যেও ঘুরে বেড়ায় সিনা উচু করে বীরদর্পে।
বলে বেড়ায় লোক সমাজে তার নাকি মাসিক চাঁদা চালু আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের কাছে।তার ঘোরাফেরা রয়েছে পুলিশের গোচরেই।
এদিকে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন মাদক কারাবারীরা কেউ পুলিশের হাত থেকে রেহায় পাবে না। এলাকাবাসীও চাই মাদক মুক্ত সমাজ। শান্তিপূর্ণ একটা সমাজ।আমরা মাদক নির্মূল করব সাধারন মানুষকে শান্তিতে রাখতে। মাদক মুক্ত হলে যেমন বেঁচে যায় যুব সমাজ তেমনই শান্তিপূর্ণ হয়ে ওঠে পরিবার গুলো। তাই দেশকে শান্তিতে রাখতে মাদক নির্মূল করা সকলেরই দায়িত্ব।

      দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন। 

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com