বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার আত্মহত্যা। কালের খবর
জয়পুরহাটে আগুনে একই পরিবারের ৮ জনের মৃত্যু। কালের খবর

জয়পুরহাটে আগুনে একই পরিবারের ৮ জনের মৃত্যু। কালের খবর

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, কালের খবর  :
জয়পুরহাটে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে লাগা আগুনের ঘটনায় দুলাল হোসেনও (৬৫) মারা গেছেন। এতে ওই দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৮ জনই মারা গেলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় নেয়ার পথে টাঙ্গাইলে তার মৃত্যু হয়।
আহতদের ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সের চালক মজনু মিয়া কালের খবরকে  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মজনু বলেন, দগ্ধদের দুটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়ার পথে যমুনা সেতু পার হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার ভোরে চারজনের মৃত্যু হয়। এসময় একটি অ্যাম্বুলেন্স লাশ নিয়ে জয়পুরহাটের উদ্দেশে ফিরে আসে। কিন্তু দুলাল হোসেন বেঁচে থাকায় তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি বাকি লাশগুলো নিয়ে ঢাকার দিকেই যাচ্ছিল। পথে টাঙ্গাইলে পৌঁছালে সকালে দুলাল হোসেনও মারা যান। এখন ওই অ্যাম্বুলেন্সটিও জয়পুরহাটের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

এর আগে বুধবার রাতে শহরের আরামনগর এলাকায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, আরামনগর এলাকার দুলাল হোসেন (৬৫), তার স্ত্রী মোমেনা বেগম (৬০), ছেলে মোমিন আহম্মেদ (৩৫), মেয়ে জেএসসি পরিক্ষার্থী বৃষ্টি (১৪), দুলালের জমজ মেয়ে হাসি (১৫), খুশি (১৫), মোমিনের স্ত্রী পরিনা বেগম (৩২) ও দেড় বছরের ছেলে নূর।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী আহসান ও রমিছা বলেন, আগুন দেখে আমরা এগিয়ে গিয়ে জানালা ভেঙে একই পরিবারের আটজনের মধ্যে শিশুসহ পাঁচজনকে বের করে আনতে পারলেও আগুনের তাপের কারণে বাকিদের বের করতে পারিনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাতে মোমেনা বেগম বাসায় রাইস কুকারে রান্না করছিলেন। এ সময় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পুরো বাড়ি পুড়ে গিয়ে সেখানেই তিনজন নিহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করায়।
আহতদের সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয় দুটি অ্যাম্বুলেন্স।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে দুটি ইউনিট মিলে আমরা আগুন নেভাতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাইস কুকারের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com