শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন
ঢাবি প্রতিবেদক, কালের খবর :
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাদক ব্যবসার অভিযোগে তিনজনকে পুলিশে দেয়। ছবি : এনটিভি
মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিমউদদীন হলের ৩২১ নম্বর কক্ষ থেকে ওই তিনজনকে আটক করে পুলিশ। সে সময় কক্ষ থেকে একটি খালি মদের বোতল ও মাদক সেবনে ব্যবহৃত কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আটক হওয়া তিনজন হলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রমজান আলী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক শাহরিয়ার মাহমুদ রাজু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার পি জে হাটর্গ আন্তর্জাতিক হলের চাকরিচ্যুত কর্মচারী সুমন দে লাল।
অভিযান শেষে কক্ষটি সিলগালা করে দেয় হল প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, অভিযানের খবর পেয়ে আটক তিনজন কক্ষের জানালা দিয়ে মাদকদ্রব্যাদি নিচে ফেলে দেন।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রহমতুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্রদের কাছ থেকে তাদের মাদক সংশ্লিষ্টতার খবর পেয়ে আমি বেশ কয়েক দিন ধরে তাদের ওপর নজর রাখছি। ছাত্রবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে, অপকর্মকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।‘
হলের ৩২১ নম্বর কক্ষে মূলত থাকেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল পাঠান সেতু। চলতি বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা ‘মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায়’ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ হিসেবে গণমাধ্যমে তাঁর নাম আসে।
রুম থেকে মাদক-সংশ্লিষ্ট তিনজনকে আটকের ব্যাপারে জানতে চাইলে দায় অস্বীকার করে আশিকুল পাটান সেতু বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কারণ, ওই সময়ে আমি হলে ছিলাম না। আমি ছাড়াও আমার রুমে শাহরিয়ার মাহমুদ রাজু নামের একজন থাকে। সেই সব জানে। কারণ তার উপস্থিতিতে সব হয়েছে।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যায়, আটক সুমন লাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার পি জে হাটর্গ আন্তর্জাতিক হলে মালির কাজ করতেন। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। একই অভিযোগে এর আগে সুমনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি আবার এ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
শাহবাগ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেব আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করব। তদন্ত শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’