শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে বারণ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত পাঁচ। কালের খবর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত আম গাছ কাটল দূর্বৃত্তরা। কালের খবর বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার প্রজেক্টের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র মতবিনিময়। কালের খবর রায়পুরায় মরহুম ডাঃরোস্তাম আলীর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে রায়পুরাতে দোয়া ও ইফতার। কালের খবর রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে গুনীজনদের আলোচনা সভা সম্পন্ন। কালের খবর আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর সাতক্ষীরার সুন্দরবন রেঞ্জে ২৪ জন হরিন শিকারীর আত্মসমর্পণ। কালের খবর
‘ বিএনপির বিরুদ্ধে ৯০ হাজার মামলা, আসামী ২৫ লাখ’। কালের খবর

‘ বিএনপির বিরুদ্ধে ৯০ হাজার মামলা, আসামী ২৫ লাখ’। কালের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর  :

সরকার বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে গত দশ বছরে বিএনপির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০৯ সাল থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে ৯০ হাজার ৩৪০টি। এসব মামলায় আসামী করা হয়েছে ২৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৭ জন।
তিনি জানান, বর্তমানে মোট জেলহাজতে আছেন ৭৫ হাজার ৯২৫ জন। হত্যা করা হয়েছে ১ হাজার ৫১২ জনকে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দ্বারা বিএনপি নেতাকর্মীর হত্যার সংখ্যা ৭৮২ জন। এছাড়া মোট গুমের হয়েছে ১ হাজার ২০৪ জন। এরমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৭৮১ জন। বিএনপির গুম ছিল ৪২৩ জন, বর্তমানে বিএনপি নেতাকর্মীদের গুমের সংখ্যা ৭২ জন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে পর্যন্ত গুরুতর জখম ও আহত হয়েছে ১০ হাজার ১২৬ জন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এসব ঘটনা প্রমাণ করে সরকার বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার সম্ভাব্য সব চো চালাচ্ছে। তারা আরও একটি ভোটাবিহীন নির্বাচন করার জন্য কূটকৌশল হাতে নিয়েছে। সে কারণে আজকে সারাদেশে গায়েবী মামলার ছড়াছড়ি যা দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা সৃষ্টি করেছে।
মির্জা আলমগীর বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই সরকার সবধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমরা বহুবার আহ্বান জানিয়েছি কিন্তু সরকার কোন কর্ণপাত করছেন না। তাদের উদ্দেশ্য একটাই আরও ভোটারবাহীন নির্বাচন করা। যার কারণে তারা এখন গায়েবী মামলার পথ বেছে নিয়েছে যে মামলা থেকে মৃত ব্যক্তি পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না।
সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কি চমৎকার তাদের গণতন্ত্র। তিনি সারাদিন বলছেন সুষ্ঠ ভোট হবে। এই হলো তাদের গণতন্ত্রের নমুনা।

বিএনপির দেয়া ৭ দফা দাবি মেনেই নেয়ার মাধ্যমে নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের কারাবন্দি নেত্রীকে মুক্তি দেয়া সহ-আমাদের যৌক্তিক দাবি গুলো মেনে নিলেই কেবল মাত্র সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। এক প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, দেশের সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়েই আমরা সরকারের এই সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করবো। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড.আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com