বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার আত্মহত্যা। কালের খবর
নেত্রকোনায় প্রেমিক স্বামীর নির্যাতনে প্রেমিকা স্ত্রী সালমা আক্তার হাসপাতালে। কালের খবর

নেত্রকোনায় প্রেমিক স্বামীর নির্যাতনে প্রেমিকা স্ত্রী সালমা আক্তার হাসপাতালে। কালের খবর

নেত্রকোনা,কেন্দুয়া প্রতিনিধি, কালের খবর :
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় প্রেমের বিয়ের ৫ মাসের মধ্যেই পাওয়ার ট্রিলার কেনার জন্য বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে না দেওয়ায় প্রেমিক স্বামীর নির্যাতনে প্রেমিকা স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে । নির্যাতনের শিকার সালমা আক্তার (১৮) নামে এক স্ত্রীকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে  বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে । এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ডুমদী গ্রামে এবং নির্যাতিতা সালমা আক্তার একই ইউনিয়নের ঝাইরকোনা গ্রামের হাদিস মিয়ার মেয়ে।

নির্যাতিতা ও তার পিতা-মাতার সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের টানে মাস পাচেঁক আগে মেয়ের (প্রেমিকার) মা-বাবার সম্মতি ছাড়াই সালমাকে বিয়ে করে একই ইউনিয়নের ডুমদী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে হৃদয় মিয়া।বিয়ের পর কিছুদিন গড়াতেই পাওয়ার ট্রিলার ক্রয়ের জন্য বাবার বাড়ি থেকে মোটা অংকের টাকা এনে দিতে স্ত্রী সালমার উপর চাপ সৃষ্টি করে স্বামী হৃদয়। এতে সালমা অসম্মতি জানালে তার উপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। এরই জের ধরে প্রায়শই স্ত্রী সালমাকে নির্যাতন করে আসছিল তার স্বামী। স্বামীর নির্যাতন সঁইতে না পেরে গত কয়েকদিন পূর্বে পাশর্^বর্তী গাড়াউন গ্রামে খালার বাড়িতে চলে যায়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য হিলাল উদ্দিন হিলালী সালমাকে টাকার জন্য আর নির্যাতন করবে না মর্মে পুনরায় স্বামীর বাড়িতে এনে দেন। কিন্তু একদিন না যেতেই গত বুধবার সকালে স্বামী হৃদয় আবারও সালমার উপর নির্যাতন শুরু করে। এ সময় সালমাকে বেদড়ক মারপিট করে আহত করে এবং যাতে সে চিৎকার চেঁচামেছি না করতে পারে সেজন্য স্বামী হৃদয় সালমার গলা চেপে ধরে।

এ বিষয়ে উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণী হাসান নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। এ ঘটনায়দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাই।

বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিনে- চিকিৎসাধীন নির্যাতিত সালমা আক্তারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কালের খবরকে  জানান, আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বাবা-মার অসম্মতিতে হৃদয় আমাকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই পাওয়ার ট্রিলার ক্রয়ের জন্য সে আমাকে বাবার বাড়ি থেকে মোটা অংকের টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকে। কিন্তুআমি টাকা এনে দিতে না পারায় হৃদয় প্রায় প্রতিদিনইআমাকে মারপিট করে। মঙ্গলবার রাতের বেশির ভাগ সময় আমার গলা চেপে ধরে ও শ্বাসরোধ করে আমার উপর নির্যাতন চালায় হৃদয় এবং বুধবার সকালে আমাকে বেদড়ক মারপিট করে। পরে খবর পেয়ে সালমার মা মনোয়ারা আক্তার স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার আহত মেয়েকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

চিকিৎসাধীন সালমা আক্তারের পিতা হাদিস মিয়া জানান-আমি আমার মেয়েকে নির্যাতনকারী পাষন্ড হৃদয়ের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনের সহযোগিতা চেয়ে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com