শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর
” কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর হায়েনার মত পুলিশী আক্রমণ ” : ‘পুলিশ যতই মারুক; আমরা রাস্তায় নামবই’। কালের খবর

” কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর হায়েনার মত পুলিশী আক্রমণ ” : ‘পুলিশ যতই মারুক; আমরা রাস্তায় নামবই’। কালের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর  :
স্কুলের উদ্দেশ্যে রাস্তায় বের হলে বাস ড্রাইভাররা আমাদের চাপা দিয়ে মারে। এর বিচার চাইতে গেলে আমাদের পিটিয়ে মারে পুলিশ।

তারপরেও আমরা রাস্তায় নামব। আমরা এর বিচার চাই। ‘
রাজধানীর ইসিবি চত্ত্বর এলাকায় কয়েকজন স্কুল শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তাদেরই একজন খুব গুছিয়ে বলছিল ওপরের কথাগুলো। ছবি তুলতে চাইলে ওরা নিষেধ করে। বলে, মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় অভিভাবকেরা সন্তানদের রাস্তায় পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।

গতকাল মঙ্গলবার এই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়েছিল পুলিশ। পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বেশ কয়েকজন ছেলে-মেয়েকে। কলার চেপে ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেছে।

ওরা সন্ত্রাসী নয়; চাঁদাবাজ নয়; জঙ্গি নয়; কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ করছে না- তারপরেও সেই পরিচিত পুলিশী আচরণ! ওইটুকু বাচ্চাদেরকে লাঠি দিয়ে গায়ের জোরে পেটানোর ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভের উদগীরণ হচ্ছে। ছেলেমেয়েগুলো দমে যায়নি; ভয় পায়নি আবারও রাস্তায় নামছে।
একাদশ শ্রেণিতে পড়া লিকলিকে চেহারার একটি কিশোরী বলছিল, ‘গতকাল লাঠির বাড়ি খেয়েছি। আজও মারুক; কিন্তু আমরা বিচার চাই। ‘ অবাক হয়ে তাকিয়েছিলামে মেয়েটির দিকে। এত ছোট ওরা, তবুও কত সাহস! ওই ছোট কাঁধে কত বড় ভার নিয়েছে তারা! দেশের সড়ককে নিরাপদ করার ভার। বন্ধু হত্যার বিচার দাবির ভার!

এই দস্যি কিশোরদের নিয়েই আমরা স্বপ্নে দেখতে পারি। আজ ওরা বন্ধু হত্যার দাবিতে দলে দলে পথে নেমেছে, আগামীকাল পথে নামবে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে; ধর্ষণের বিরুদ্ধে; ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে। ওদের ছোট্ট বুকে লুকিয়ে থাকা হিমালয়সম দুঃসাহস এই নষ্ট হয়ে যাওয়া দেশকে আবারও সুন্দর করে তুলবে।

রাস্তায় পায়ে হেঁটে অফিস কিংবা গন্তব্যে চলা শত শত মানুষ ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। কারও মুখে বিরক্তি নেই; সবাই চায় সন্তানরা যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com