বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কটিয়াদীর করগাঁও ইউনিয়নে এম পি নূর মোহাম্মদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর তিতাসের আ.লীগ নেতার মুক্তির দাবিতে মুক্তিযুদ্ধাদের মানববন্ধন। কালের খবর কিশোরগঞ্জের দানাপাটুলী ইউনিয়নে জন অংশগ্রহণ মূলক বাজেট সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর সোনামসজিদ সীমান্তে বিদেশী পিস্তল-গুলিসহ যুবক আটক। কালের খবর বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠন সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর সুন্দরগঞ্জে মীরগঞ্জ শাখার জনতা ব্যাংক অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদে দোকান মালিক,গ্রাহকদের মানববন্ধন। কালের খবর মিশনে যাওয়া হলনা সেনা সদস্য সাইফুর রহমানের। কালের খবর প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি,কিশোরগঞ্জে সেই বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা তাড়াশে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আবদুস সালাম বি.এস.সি। কালের খবর
সারাদেশে ৬০ হাজার শিক্ষক জালসনদে শিক্ষকতা করে বেতন-ভাতার নামে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লোট-পাট করছে কোটি কোটি টাকা। কালের খবর

সারাদেশে ৬০ হাজার শিক্ষক জালসনদে শিক্ষকতা করে বেতন-ভাতার নামে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লোট-পাট করছে কোটি কোটি টাকা। কালের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক,  কালের খবর  : সারাদেশে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরের প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক এখন জালসনদে শিক্ষকতা করছেন। তারা সরকারের ‘মান্থলি পে-অর্ডার’ বা এমপিও পেয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা বেতন-ভাতা তুলে নিচ্ছেন। কেবল চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ২৬৮ শিক্ষকের সনদ জাল বলে তদন্তকালে ধরা পড়েছে। ভুয়া সনদধারী শিক্ষকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ডিআইএ।

ডিআইএর নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, ১৯৮১ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ৩৫ বছরে সারাদেশে ৫১ হাজার ৯৯২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষকের সনদ জাল বলে চিহ্নিত করেছে ডিআইএ। এসব শিক্ষক এই সময়কালে সরকারি কোষাগার থেকে ৪৮২ কোটি ৭৮ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৭ টাকা বেতন-ভাতা তুলেছেন।

ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন আহমদ ভূঁইয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, এসব শিক্ষক তদন্তকালে চিহ্নিত হয়েছেন। জনবল সংকট ও সামর্থ্যের কারণে সব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সরেজমিনে তদন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, তার ধারণা তদন্তের বাইরে থাকা জাল সনদধারী শিক্ষকের প্রকৃত সংখ্যা অন্তত ৪০ গুণ বেশি হবে। সে হিসাবে সারাদেশে এ মুহূর্তে জাল সনদধারী শিক্ষকের সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ মে পর্যন্ত তদন্তকালে ২৬৮ শিক্ষকের সনদ জাল বলে তারা প্রমাণ পেয়েছেন। তাদের কাছ থেকে আট কোটি ৫৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩১ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি জানান, এই ২৬৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮২ জন জাল সনদধারী শিক্ষক বেতন-ভাতা তুলেছেন দুই কোটি ২৯ লাখ ২১ হাজার ৬৯৭ টাকা। এভাবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১১ শিক্ষক ৪৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১০৯ শিক্ষক তিন কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ৬৬ শিক্ষক দুই কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন।-

 

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com